যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের যে দুইটি ঘটনায় এখনো হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়...
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ১৬ জুন, ২০১৫, ০১:১৪:০২ দুপুর
মোঃশফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাই তখন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ভাই তখন জোট সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রী। মাঝেমাঝে ইসলামি ছাত্রশিবিরের কর্মপরিষদের কিছু জরুরী বৈঠক হয়, এই বৈঠকগুলো সাংগঠনিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাসুদ ভাই সন্ধারাতে মন্ত্রী মুজাহিদ ভাইয়ের কাছে ফোন করলেন। সালাম-দোয়া বিনিময়ের পর মাসুদ ভাই বললেন, আমাদের একটা জরুরী বৈঠক আছে, এই সময়ের মধ্যে বসার মত তেমন কোন উপযুক্ত জায়গা পাচ্ছিনা, ফজরের নামাযের পর ৪০/৪৫ মিনিট সময়ের জন্য আমরা ৮/১০ জন লোক আপনার বাসায় বসতে চাচ্ছি, যদি আপনার কোন অসুবিধা না হয়। তখন মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই বললেন, সমস্যা নাই আপনারা আসতে পারেন।
ঠিক ২০/২৫ মিনিট পর মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই মাসুদ ভাইকে ফোন করে বললেন, মাসুদ ভাই আপনারা কি আমার বাসা ছাড়া অন্য কোথাও বসতে পারবেন না! ফোনের অপর প্রান্তে মাসুদ ভাইকে চুপ থাকতে দেখে মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই আবার বললেন, ভাই আসলে হয়েছে কি, আমি যে আমার বাসায় আপনাদের বসতে দিবো, আপনাদের বসানোর মত কোন সোফাসেট অথবা ভাল চেয়ার আমার বাসায় নাই। তখন মাসুদ ভাই বললেন, সমস্যা নাই, আমরা ফ্লোরেই বসবো। মাসুদ ভাইয়েরা যখন প্রোগ্রাম করতে বাসায় গেলেন তখন মন্ত্রী মুজাহিদের বাসার সাদামাটা ডেকোরেশন দেখে কেউ সেইদিন নিজেদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি।
মন্ত্রীর জন্য সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকে। একদিন সকালবেলা জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ তাঁর মন্ত্রনালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে সরকারি গাড়িতে মাত্র বসলেন, নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ তাদের গাড়িতে উঠতে যাবে, ঠিক ঐ সময় মন্ত্রী মুজাহিদ ভাইয়ের ছোট ছেলে উনারগাড়ির দিকে আসতে দেখে গাড়ির গ্লাস অপেন করলেন। বাবার কাছে এসে ছেলে বললেন, আব্বু আমার স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে, আপনার গাড়িতো আমার স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়েই যাবে, আমাকে একটু স্কুলের সামনে নামিয়ে দিবেন?
তখন মুজাহিদ ভাই বললেন, বাবা এটা তোমার আব্বু মুজাহিদের গাড়ি না, এটা মন্ত্রী মুজাহিদের গাড়ি। আজ তোমাকে গাড়িতে উঠালে কাল হাশরের ময়দানে রাষ্ট্রীয় গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছি বলে আল্লাহর দরবারে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ছেলের হাতে দশ টাকার একটা নোট দিয়ে বললেন, বাবা এই টাকা দিয়ে তুমি লোকাল বাসে করে চলে যাও। উপস্থিত পুলিশ অফিসার ও অন্যরা মন্ত্রীর এই আচরনে কেউ নিজেদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি।
এই দুইটা ঘটনা ২০০৫ সালের শেষের দিকে এক কর্মী সমাবেশে ইসলামি ছাত্রশিবিরের জেলা পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীলের মুখ থেকে শুনেছিলাম।ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার ও হাছিনা সরকার দূরবীন দিয়েও বিগত জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ১ টাকা পরিমান দুর্নীতি খুজে বের করতে পারেনি।
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ভাইয়ের ছেলের এই প্রশ্ন গুলোর জবাব জাতীর কাছে আছে কি??? হে প্রিয়, আমাদের ক্ষমা করে দিও...
https://www.facebook.com/dilmohammed.mamun/videos/vb.100000902801201/987228357983915/?type=2&theater
http://www.bdfirst.net/newsdetail/detail/200/170067
হে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা আমাদের ক্ষমা করে দিও, আমরা অসহায় জাতী তোমাদের চিনতে পারিনি, পারিনি তোমাদের মর্যাদা দিতে...ইনশাআল্লাহ দেখা হবে জান্নাতে।
বিষয়: বিবিধ
১৬১০২ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমরা এই জালিম সরকারের সেই রাতে অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আল্লাহ উনাদের সবর দান করুন! উনাদের ঈমানের মজবুতী দান করুন! একদিন সত্য উন্মোচিত হবেই এ দুনিয়াতে না হলেও পরকালে........
সুতরাং আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের নিয়ে যাবেন আর তার সাথে তাঁর ও আমাদের ঈমানি পরিক্ষা করেবেন। পরিক্ষার্থী হাসি মুখে বিদায় নিবেন, আর আমরা ও বিজয়ের হাঁসি হেসে হেসে তাদের বিদায় জানাব, আর তাঁর জন্য মহান রবের নিকট শ্রেষ্ট প্রতিদান চাইব, যার পুরস্কার হল জান্নাতুল ফেরদাউস।
সোনার পাখিরা একে একে উড়ে যায়, ভেঙ্গে ভেঙ্গে হৃদয়ের সকল বাঁধন....
সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, জাজাকাল্লাহ খাইরান
আল্লাহ্ ওনাদের মত আমাদেরও কবুল করুণ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই মিথ্যা কথাগুলো না বল্লে কি হতো না ?
মুজাহিদের এক ছেলে আহমেদ আহকিক ঢাকা কলেজে পড়তো ও পরে ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগে পড়া শুরু করে ও পড়া শেষ করে । সেই সূত্র ধরে আমার যাতায়াত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগে । আহমেদ আহকিকের সাথে পড়ুয়া আমার এক বন্ধু ২২ তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এক সিনিয়র সহকারী সচিব । প্রায়ই তার সাথে কথা হয় । তার কাছ হতেই জানতাম আহমেদ তাহকিক শিবির করতেন না । অথচ তার ক্লাস ফ্রেন্ডের অনেকেই শিবিরের কর্মী-সাথী-সদস্য । তাকে যখন টিভিতে দেখি ও তার বাবার গুনমুগ্ধদের অন্ধভাবে মিথ্যাচার করতে দেখি অবাক হই ।
আলী আহসান মুজাহিদ (৩ ছেলে ১ মেয়ে)
সেক্রেটারি জেনারেল, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ
১. আলী আহমেদ : আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও
কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে অর্নাস। এরপর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি
ইউনিভার্সিটিতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।
২. আহমেদ আহকিক : মগবাজার আইএস স্কুল কলেজ
থেকে এসএসসি, এইচএসসি করেছেন ঢাকা কলেজ থেকে, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে অর্নাস করেছেন।
৩. আহমেদ মাবরুর : আইএস স্কুল থেকে এসএসসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অর্নাস, আল মানারাত ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স।
৪.তামরিনা : ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি, আল মানারাত ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশে অনার্স।
দয়া করে মিথ্যাচার একটু কম করুন । মোজাহিদ যখন মন্ত্রী ছিল তখন তার কোন ছেলেই স্কুলে পড়তো না ।
তার বাসায় দামি সোফা ছিল না - কথাটা আংশিক সত্য । দামি সোফা বলতে যদি খালেদা জিয়ার বাসার সোফার কথা বলা হয়, তাহলে বাংলাদেশের ১% লোকের বাসায়ও সে ধরনের সোফা না থাকাই সাভাবিক । তবে ৪০ হাজার টাকা দামের সোফার কথা বল্লে অনেকের বাসায় কেন মধ্যবিত্তদের বাসায় এমন সোফা আছে ।
দয়া করে একটু মিথ্যাচার কম করুন ।
আমার এই লেখাটা পড়ুন :http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66176
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এবং শিবির কর্মীদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66180
আমার এই লেখাটা পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোদ করছি ।
জামাত-শিবিরের নাম শুনলেই যাদের চুলকানি উঠে, তাদের জবাব আমি এই রকমই দিয়ে থাকি। কারন এরা সত্য কোনদিন দেখেনা, এরা অন্ধ, বধির।
গাড়ীর স্পিড বেশী হলে মজা করে বলতেন; আমাদের দেশে ট্রাক ড্রাইভারের বেশী স্পিডে গাড়ী চালায়, এখানে দেখী তার উল্টো!
মন্তব্য করতে লগইন করুন