সন্মানীত অভিভাবকদের প্রতি টিউটরের কিছু পরামর্শ।

লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২০ মে, ২০১৫, ০৫:৩০:৪৬ বিকাল



আমার আগের পোষ্টে "১২ বছরের টিউশনি জীবন ও কিছু বিচিত্র অভিজ্ঞতা" সম্পর্কে কিছু লিখেছিলাম। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানান ধরনের অভিভাবকদের সাথে আমার মিলিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। কিছু অভিভাবকদের এমনও দেখেছি, যারা মনে করেন সন্তানের পড়ালেখার সব দায়-দায়িত্ব টিউটরের! শুধু টিউটরের কাছে পড়লেই পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট নিশ্চিত, অভিবাবকদের কোন প্রকার ভূমিকার প্রয়োজন নাই, মাঝেমাঝে পড়ার টেবিলে এসে ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে নানান রকমের অভিযোগ করবেন, আর বলবেন আপনার পড়া যদি না পারে তাহলে আপনি আপনার ইচ্চেমত পিটাবেন, মনে হয় টিউটরের দায়িত্বই শুধু পিটানো! আর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করতেই হবে, রেজাল্ট একটু খারাপ হলে যাবতীয় দোষ টিউটরের! টিউটর বেটা যেন টিউশন টা নিয়েই ফাইস্যা গেছে!

সব জান্তা টাইপের কিছু অভিবাবক আছে, যারা টিউটর কে সব সময় পড়ানোর ব্যাপারে কোন না কোন দিক নির্দেশনা দিবেই দিবে। নিজেদের সন্তানদের প্রতি ওভার কনফিডেন্স রাখবে, আর টিউটরের বিন্দু পরিমান হলেও দোষ ধরার চেষ্টা করবেই। ক্লাসের টেস্ট পরীক্ষায় কোন বিষয়ে যদি নাম্বার একটু কম পায়, তাহলে এতবেশি পেরেশানি দেখাবে, যেন এই ছেলে মেয়েদের দিয়ে ভবিষ্যতে কিছুই হবেনা, এদের নিয়ে উনাদের জীবনটাই বরবাদ হয়ে গেছে! সাথে সাথে অভিযোগ করবে, শুধুমাত্র ছেলেমেয়েদের না, এই কম নাম্বারের পিছনে টিউটরের ও গাফিলতি ছিল! আর পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করলে সব কৃতিত্ব ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের হয়ে যায়, ভাল রেজাল্টের পিছনে টিউটরের তেমন কোন ভূমিকাই থাকেনা! এমনকি টিউটরের সামনেই ছেলেমেয়েদের শাসন করা শুরু করে! এ যেন "ঝি কে মেরে বৌকে শিখানো"! ফাইনাল পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার পর এই রকম একজন অভিবাককে একবার কিছু কড়া কথা বলেছিলাম।

কিছু অভিভাবক আছে, যারা সার্বক্ষণিক তাদের অভাব অনটনের কথা টিউটর কে বলবেই! টিউটরের বেতন দেওয়ার সময় এমন একটা ভাব দেখাবে যেন অনেক কষ্ট করেই টাকাটা দিচ্ছে! অথচ তাদের যাবতীয় সব কাজ বরাবরই হয়, টাকার জন্য কিছুই থেমে থাকেনা, শুধুমাত্র টিউটরের সামান্য টাকাটা দিতে আসলেই তাদের পেটের ব্যাথা বেড়ে যায়! আবার কিছু ব্যতিক্রম ধরনের অভিবাবক আছে, যারা সব সময় একটা বড় লোকি ভাব নিয়ে থাকেন, টিউটর যেন তাদের বেতনভুক্ত কর্মচারী! তাদের সন্তানগুলো যেন ননীর পুতুল, শাসন করাতো দূরে থাক ধমক দিয়ে কথা বলাও যাবেনা! তাদের কথামত টিউটর কে পড়াতেই হবে, ভাবখানা এমন যেন তাদের টিউশনির টাকা দিয়েই টিউটরের পেট চলে! আমার কথা হলো, টিউটরের সাথে গরিবের ভাব ধরারও দরকার কি, আবার বড় লোকি ভাব দেখানোর ও দরকার কি??

দীর্ঘদিনের টিউশনির জীবনে কিছু অভিভাবক পেয়েছি, যারা সু-শিক্ষিত, সচেতন ও আন্তরিক। তারা হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝেও নিজেদের সন্তানদের পড়ালেখার খবর রাখেন, টিউটরের খবর রাখেন এবং আপ্যায়নের ব্যাপারেও যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখান। এই ধরনের অভিভাবকদের সন্তানদের পড়াতেও যেকোন টিউটর উৎসাহবোধ করেন, সর্বোপরি উনাদের সন্তানেরা কখনো খারাপ রেজাল্ট করেনা।

অভিভাবকদের বলবো, আপনারা সন্তানের পড়ালেখার সব দায়-দায়িত্ব শুধু টিউটরের উপর ছেড়ে দিবেন না, নিজেরাও খোজ খবর রাখবেন। টিউটর আপনার সন্তানদের ১-২ ঘন্টা দেখবে, কিন্তু বাকি সময় আপনাদেরকেই দেখতে হবে। সন্তানদের অতিরিক্ত আদরও করবেননা আবার খুব বেশি শাসন ও করবেন না। আপনার সন্তান সবকিছু সময়মত করতেছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব আপনার। সন্তানদেরকে আধুনিকতার মধ্যে ছেড়ে দিবেন না, ইসলামিক বিষয় গুলো মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করুন। প্রত্যেক টিউটর তার ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল রেজাল্ট করানোর জন্য আপ্রাণ চেস্টা করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের খারাপ রেজাল্ট কোন টিউটর কামনা করেন না। আপনাদের সন্তানদের ভাল রেজাল্ট করানোর জন্য মাঝেমাঝে টিউটরেরা এত বেশি ব্যস্ত হয়ে যান যে, নিজের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলোও তখন তাঁর কাছে গুরুত্বহীন হয়ে যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফল দেখে টিউটর কতটা আনন্দিত হয়, তা শুধুমাত্র একজন টিউটরই বুঝবেন। টিউটরকে টিউটরের মর্যাদা দিন, অযথা টিউটরকে জ্ঞান দিবেন না। বর্তমানে অনেক অভিভাবক স্কুলে পড়ুয়া সন্তানদের অতিরিক্ত আদর ও বিশ্বাস করে তাদের হাতে দামি মোবাইল তুলে দেন। এই মোবাইলটাই আপনার সন্তানের অধঃপতনের কারণ হতে পারে যদিও আপনি এখন বুঝতেছেন না, কিন্তু যখন বুঝবেন তখন আপনার মান-সন্মান সবই শেষ, আর কিছুই করার থাকবেনা। স্কুলজীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইলের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। কারন বয়সের কারনে সঙ্গতভাবেই আপনার সন্তানের মধ্যে ১০০% আবেগ কাজ করবে, সে ভাল-খারাপ কিছুই বুঝবেনা।

একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনাকে আপনার ছেলে-মেয়ের খবর রাখতেই হবে। আপনার সন্তান কোন ধরনের ছেলে-মেয়েদের সাথে আড্ডদেয়, কোথায় যায়, কি করে সব খবর রাখবেন। যাবতীয় বাংলা ও হিন্দি মুভি এবং নাটক-উপন্যাস থেকে আপনার সন্তানকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তারা যেন অবশ্যই কোরআন, হাদিস ও ইসলামি সাহিত্যের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে এবং কোন ভাবেই যেন নামায ছেড়ে না দেয় এই বিষয়গুলো ভালভাবেই খেয়ালে রাখবেন। আপনার কাছ থেকে কোনভাবেই যদি স্কুল জীবনে প্রশ্রয় পেয়ে যায়, তাহলে পরবর্তিতে আপনি আর কন্ট্রোল করতে পারবেন না। আপনার সন্তানকে ইসলামী কালচারের সাথে চলতে অভ্যস্ত করুন, তাহলে আপনি দুনিয়া ও পরকাল উভয় জায়গায় সন্মানীত হবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে বুঝার ও মেনে চলার তৌফিক দান করুন, ছুম্মা আমিন।

আমার টিউশন সম্পর্কিত আগের লিখাটি পড়তে ক্লিক করুন....

http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/10481/4341216/64968#.VVxwVVKZEdU

বিষয়: বিবিধ

৪৪৯০ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

321290
২০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! আপনার সাথে সহমত রাখছি।
321291
২০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। কষ্ট করে আমার লিখাটা পড়েছেন এবং আপনার ভাল লেগেছে, এটাই আমার লিখার সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২১ মে ২০১৫ রাত ০১:০৪
262496
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আপনার জবাব মন্তব্যকারী পর্যন্ত পৌঁছেনি ! !
২১ মে ২০১৫ রাত ০২:১৩
262534
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ পৌঁছে যাবে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
321302
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১০
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৫
262383
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : কষ্ট করে আমার লিখাটা পড়েছেন এবং আপনার ভাল লেগেছে, এটাই আমার লিখার সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
321317
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫
শেখের পোলা লিখেছেন : একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন৷ এমন অভিজ্ঞতা আমারও আছে৷ অবশ্য তখন মোবাইলের জন্ম হয়নি৷ আর স্কুল শীক্ষকের ব্যাচে পড়লেই নির্ঘাৎ পাশ এমন ব্যাচ বা মানসীকতারও জন্ম হয়নি৷ ধন্যবাদ৷
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৮
262408
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাই, মাঝে মাঝে কিছু অভিবাকদের আচরনে খুব খারাপ লাগে। কষ্ট করে আমার লিখাটা পড়েছেন এবং আপনার ভাল লেগেছে, এটাই আমার লিখার সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
321321
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই অভিজ্ঞতার কথা অনেকের মুখেই শুনেছি। কিন্তু আমি কখনও কোথাও গৃহশিক্ষক এর কাজ করিনি। তবে কোচিং সেন্টার এর শিক্ষক হিসেবেও এইরকম অভিজ্ঞতাই হয়েছে। সন্তান এর জন্য খরচ করছেন এটা অনেক অভিভাবক নিজের একমাত্র কাজ মনে করেন। আর সন্তান এর পরিক্ষার ফলাফল কে স্যোসাল ষ্ট্যাটাস।
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৯
262410
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : জি ভাইয়া, টিউটরের টাকাটা উনাদের কাছে বড় বোজা মনে হ্য়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
321326
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৭
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : এই বিচিত্র জীবনটা আমার জন্‌য অপেক্ষা করতেছে...
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
262413
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : তাই নাকি ভাই? সব অভিবাবক খারাপ না, ভালো ও আছে, টেনশন করিয়েন না...সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
321354
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আপনার অনেক অভিজ্ঞতা জানলাম তবে আপনার কথা গুলো ঠিক আছে ।

একটা মেয়ে ভারী দুষ্ট তার জন্য একটা গৃহশিক্ষক রাখা হয়েছে দুইদিন সে শিক্ষক এসে আর আসে না খবর নিয়ে জানা গেল ছাত্রী এত দুষ্ট টিচার ভয় পেয়েছে আর আসবে না । ভাইয়া এরকম কোন অভিজ্ঞতা নেই ।
২০ মে ২০১৫ রাত ০৮:০২
262419
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : হা হা হা হা, ঐ রকম দুষ্ট ও পড়াইছি, তবে আমার সাথে খুব ভাল আচরন করতো, যদিও আগের কোন টিউটর তাকে ঠিক করতে পারেনি, সে এস,এস,সি তে খুব ভাল ফলাফল ও করেছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
321356
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ছাত্র জীবন থেকে আমার এ ব্যাপারে অভিজ্ঞার জগৎ শুরু। ৯৫ যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি মামার বাড়ি থেকে, তখন থেকে ছোট ভাইবোনদের পড়ানো শুরু করি। সেই থেকে ০৫ পড়া লিখা শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতা আমার সাথে লেগেই ছিল। অতঃপর ০৭-১১ পর্যন্ত চার বছর নিয়মিক টিউটর ছিলাম। অভিজ্ঞাতার ঝুলি অনেক। আপনার কথাগুলো যেন আমার অতীত মনে করে দিয়েছে। মা বাবাই সন্তানের প্রথম ভার্সিটি। এখান থেকেই বুনিয়াদী শিক্ষাটা থাকতে হবে। নতুবা ফাউন্ডেশন নড়বড়ে থেকে যাবে, যে কোন সময় হেলে যেতে পারে। সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য শুকরিয়া।
২০ মে ২০১৫ রাত ০৮:০৪
262422
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। ভাইয়া, কষ্ট করে আমার লিখাটা পড়েছেন এবং আপনার ভাল লেগেছে, এটাই আমার লিখার সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
321363
২০ মে ২০১৫ রাত ০৮:১০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সুন্দর পরামর্শগুলো খুবই কাজের।
আবুধাবীতে আপনি আমার উত্তরসূরী!মানে আমিও প্রাথমিক প্রবাস জীবনে টিউশনি করেছিলাম, ১৯৮৯-৯০ সালে। Happy
২০ মে ২০১৫ রাত ০৮:৩৭
262428
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া, আপনার উত্তরসূরি হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করতেছি। দোয়া করবেন যেন এই পেশার মর্যাদা ধরে রাখতে পারি। আপনি আমার লিখাটা পড়েছেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার পূর্বক সুন্দর মন্তব্য করেছেন, এই জন্য সত্যিই আমি আনন্দিত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০
321397
২০ মে ২০১৫ রাত ০৯:১১
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : যে দেশে গুণির কদর নেই
সে দেশে গুণি জন্ম নেয়না
এটা যেমন সত্যি ঠিক তেমনি
যে দেশে টিউটরদের সম্মান করবেনা
সে দেশে মেধা জন্ম নিবে না ।
অনেকের ঘরে দেখেছি ও শুনেছি টিউটরকে সকালে রং চা দিয়ে পরোটা দেয় । এমন ভাবে ভাত দেয় যেন টিউটরটি খেতে না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছে । নিজেদেরকে টিউটরের মালিক মনে করে ।
১১
321405
২০ মে ২০১৫ রাত ০৯:৩৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া কিছু কিছু অভিভাবকদের আচরনে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে। যে অভিভাবকেরা টিউটরের সাথে ভাল আচরন করে, টিউটরেরাও তাদের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হন।
আমার লিখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১২
321439
২১ মে ২০১৫ রাত ১২:২৬
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : প্রাইভেট পড়ানোর সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা আছে ।
কিছু কিছু অবিভাবকের দিক-নির্দেশনা শুনে মনে হয় আমি পড়া্ইতে যায়নাই যেন তাদের কাছে আমি পড়তে গেছি ।
২১ মে ২০১৫ রাত ০২:০৯
262532
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জি ভাইয়া মাঝে মাঝে অভিভাবকদের কিছু আচরনে খুব খুব কষ্ট লাগে। যে সমস্ত অভিভাবকেরা বেশি বাড়াবাড়ি করে, আমি ঐ টিউশন গুলো ছেড়ে দিই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৩
321453
২১ মে ২০১৫ রাত ০১:১৮
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। টিউশনি নিয়ে দুটি লেখায় পড়েছি! অভিবাবকের জন্য পরামর্শ গুলো আগামীতে হয়তো কাজে আসবে, আপনার এই পেশাটি মানুষ গড়ার জন্য, আজকের দিনে অভিবাবদের তিক্তভাষা বা তিক্ত অভিঙ্গতা যন্ত্রণা দায়ক হলেও আগামী দিনে আপনার এ তিক্ততা মিষ্টহয়ে মনকে রাঙাবে। ধন্যবাদ।
২১ মে ২০১৫ রাত ০২:১১
262533
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪
321496
২১ মে ২০১৫ রাত ০৩:০৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ।

আমাদের এখানে আমরা বাচ্চাদের আরবী ও বাংলা পড়ানোর জন্য ছোট একটা প্রতিষ্ঠান করেছি। সপ্তাহে দু দিন । এখানে মেয়েদের আমি পড়াই। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বাবা মায়েরা বাচ্চাকে আমাদের কাছে পাঠিয়েই নিশ্চিত হয়ে যান উনাদের ছেলে মেয়ে একাবারে দুদিন এসেই সব শিখে ফেলবে! উনাদের কোন সচেতনতা নেই বাচ্চা কি পড়লো, কতো টুকু অগ্রসর হলো, কেনো পারছে না! শুধু মনে করেন আমাদের দায়িত্ব সন্তানদের পুরোদস্তুর শিক্ষিত বানিয়ে দেয়া!

খুবি কষ্টের! তবে কিছু সচেতন অভিভাবক আছেন যাদের কারনে মনে সান্তনা আসে!

আপনার এবং আপানর স্টুডেন্টদের জন্য শুভকামনা রইলো! জাযাকাল্লাহু খাইর!
২১ মে ২০১৫ রাত ০৩:২৬
262549
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। সন্মানীত আপু,আপনিও এই পেশায় জড়িত আছেন জেনে খুব ভাল লাগলো। মাঝেমাঝে কিছু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অসচেতন অভিভাবকদের আচরনে খুব খুব কষ্ট লাগে। আবার কিছু শিক্ষিত ভাল ও সচেতন অভিভাবকদের কারনে ভাল ও লাগে, পড়াতে উৎসাহবোধ করি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার এবং আপানর স্টুডেন্টদের জন্য শুভকামনা রইলো।
১৫
321627
২১ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৫১
আবু ফারিহা লিখেছেন : বাস্তবতা ও তার অালোকে পরামর্শ। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
২১ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৯
262685
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আমার লিখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬
321725
২২ মে ২০১৫ রাত ০১:২৮
আবু জারীর লিখেছেন : গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ। বাস্তব জীবনে প্রায় সব গুলো ঘটনারই উখোমুখি হয়েছি। একজন উচ্চশিক্ষিত অভিভাবক এমন আচরণ করেছিলেন যা কোনদিনও ভুলতে পারবনা। বাচ্চাদের পড়াতে গিয়ে বাসার কলিং বেল দিয়ে যখন ভিক্ষুকের মত দাড়িয়া থাকতে হয় তখন সবচেয়ে বেশী খারাপ লাগে। শহরের মেয়ে গুলো এত ফাজিল সব সময় স্যারকে বিপাকে ফেলার তালে থাকে তবে মহল্লার মাস্তান ছাত্রটাও স্যারকে যথেষ্ট সমীহ করে আদবের সাথে সালাম দেয়। তার দেখা দেখি সব মাস্তান গুলোই স্যারকে সমীহ করে। কে কিভাবে নিবেন জানিনা শহরের ব্রীলিয়ান্ট ছাত্রীর চেয়ে মাস্তান টাইপের ছাত্র পড়ান অনেক রিল্যাক্সের কাজ। এক ফাজির ছাত্রী জানত আমি শুটকি মাছের গন্ধও শুক্তে পারিনা অথচ কোন ফাকে যে আমার পকেটে একটা শুটকি মাছে ঢুকিয়ে দিয়েছে টেরও পাইনি। শুটকির গন্ধে আমিতো দেছুট কিন্তু গন্ধ যায়না কেন? রুমে এসে শার্ট খুলতে গিয়ে বুকের উপর কাটার গুতায় হুশ হয়েছে। হাত দিয়ে দেখি পকেটেই শুটকি!

আর এক ফাজিল ছাত্রী জানত আমি কাঁচা লবণ খাইনা। তার মা বাবা গ্রামে বেড়াতে গেলে সে অনেক অনুনয় বিনয় করে আমাকে নিজের হাতে রেধে খাওয়াবে বলে দাওয়াত দেয়। সরল মনে খেতে বসে দেখি সব কিছুই লবণ ছাড়া। বিষটা আমি বুঝতে না পের যেইনা লবণ চেয়েছি অমনি বাসা সুদ্ধ সবাই হেসে গড়াগড়ি যাচ্ছে। ততক্ষণে বিষয়টা আঁচ করতে পেরেছি কিন্তু ভাগ্যে লবণ জোটেনি। এই হল ফাজিল ছাত্রীদের ফাজলামর নমুনা। অবশ্য ওরা আমাকে স্যারই মনে করত না। কারন আমার আর ওদের মধ্যে এক ক্লাসের ব্যাবধান ছিল। আমি পড়তাম ঢাকা সিতি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে আর ওদের একজন পড়ত সাইন্স ল্যাবরেটরি স্কুলের দশম শ্রেণীতে আর একজন পড়ত ধানমণ্ডির একটা ভালো স্কুলে নামটা সম্ভবত কামরুন্নাহার গার্লস স্কুল।
২২ মে ২০১৫ রাত ০২:৪৯
262771
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : হা হা হা....খুব মজার অভিজ্ঞতা! ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু দুষ্টমির কথা মনে পড়লে এখনো খুব হাসি পাই।
কিছু কিছু অভিভাবকের আচরনে মাঝে মাঝে খুব কষ্ট লাগে।
কষ্ট করে আমার লিখাটা পড়েছেন এবং মজার অভিজ্ঞতার একটা মন্তব্য করেছেন এই জন্য সত্যিই আমি আনন্দিত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৭
321744
২২ মে ২০১৫ সকাল ০৫:০৬
কাহাফ লিখেছেন :
টিউটরদের সুন্দর লিখেছেন শ্রদ্ধেয় ভাই!
ছাত্রদের আদর্শিক পরিবর্তনে টিউটরদের ভূমিকা থাকলেও অভিভাবকদের ভূমিকাই সব চেয়ে বেশী!
অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ জানাচ্ছি!!
২২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:০০
262794
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া অনেক অভিভাবক সন্তানদের ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন থাকেন। কষ্ট করে আমার লিখাটা পড়েছেন এবং সুন্দর মন্তব্য করেছেন এই জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮
322533
২৬ মে ২০১৫ রাত ১২:২২
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : সুন্দর লেখা পড়ে খুব ভাল লাগলো । অনেক ধন্যবাদ
২৬ মে ২০১৫ রাত ০২:৪৯
263675
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,আমার লিখাটা কষ্ট করে পড়েছেন ও আপনার ভাল লেগেছে, এটাই আমার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File