"দ্বীন প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সঃ) এর ধৈর্য ও ত্যাগ"
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:৪৪:৫৩ সকাল
পবিত্র আরব ভূমি যখন শির্ক, মূর্তিপূজা, অজ্ঞতা, নগ্নতা, হত্যা, রাহাজানি, লুটতরাজ ও ব্যভিচারে নিমজ্জিত, ঠিক তখনিই মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতির প্রতি বড় মেহেরবানী করে রহমত স্বরুপ জাহেলিয়াতের অন্ধকারে আলোক বর্তিকা হিসেবেই তাঁর প্রিয় হাবিব মোহাম্মদ (সঃ) কে আরবের সম্ভ্রান্ত কোরাইশ বংশে পিতা আব্দুল্লাহ ও মা আমিনার কোলে ৫৭০ খিস্ট্রাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল মাসের সোবেহ চাঁদিকের সময় পাঠিয়ে মানব জাতিকে ধন্য করেন।
কিশোর বয়স থেকেই এতিম নবী প্রতিনিয়ত জাহেলিয়াতের কুৎসিত চেহারা দেখে তিনি মানবতার মুক্তির পথ খুজতে লাগলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি "হিলফুল - ফুজুল" প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবে নিজেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত করেন। তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মনের গভীরে স্থান করে নেন এবং আল-আমিন উপাধি লাভ করেন।
নবুয়ত লাভের পূর্বে ২৩ বছরের (৪০-১৭) মধ্যে তিনি সমাজের তরুণ ও যুবকদের নিয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করেও সমাজ থেকে জাহেলিয়াতের কালো অন্ধকার দূর করতে সক্ষম হননি। দিনের পর দিন হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন থেকে অবশেষে ৪০ বছর বয়সে তিনি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রিসালাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এই মহান দায়িত্ব পেয়ে তিনি যখন মানব জাতিকে সত্য, সঠিক ও এক আল্লাহর আনুগত্য করার আহবান জানালেন তখনিই সমাজের কায়েমি স্বার্থ প্রতি পদে পদে বাদা দিতে থাকে। যেই লোকটি যৌবনের ৪০ টা বছর পর্যন্ত সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মনের গভীরে স্থান করে নিয়ে আল-আমিন উপাধি লাভ করেন, সেই লোকটি শুধু মাত্র এক আল্লাহর দাসত্বের আহবান করার কারনেই মুহুর্ত্বের মধ্যেই শত্রুতে পরিনত হয়ে গেলেন!
চতুর্দিক থেকে অপমান, ঠাট্টা, বিদ্রুপ, জুলুম নির্যাতন সাগরের ঢেউয়ের মতই ধেয়ে আসতে লাগলো। মক্কার মুশরিকেরা প্রিয় নবীকে নানান ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে, ভয় ভীতি দেখিয়ে রিসালাতের মহান দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার হাজারো চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলো। কিন্তু প্রিয় নবী (সঃ) ধৈর্য ও ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর উপর শতভাগ আস্থা রেখে সবকিছুই মোকাবেলা করে যেতে লাগলেন।
এত জুলুম ও নির্যাতন সত্বেও ইসলামের শত্রুরা তাদের সকল ফন্দিফিকিরের ব্যর্থতা, ইসলামের অগ্রগতি এবং হযরত ওমর (রাঃ) ও হযরত হামজা (রাঃ) এর মত সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইসলাম গ্রহনের দৃশ্য দেখে দিশাহারা হয়ে উঠলো। সপ্তম হিজরির মহরম মাসে মক্কার সব গোত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে বনু হাসেম গোত্রকে বয়কট করার চুক্তি সম্পাদন করলো। চুক্তিতে স্থির করা হলো, "বনু হাশেম গোত্র যতক্ষন পর্যন্ত মুহাম্মদ (স) কে আমাদের হাতে তুলে না দিবে ও তাঁকে হত্যা করার অধিকার না দিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ তাদের সাথে কোন আত্বীয়তা রাখবেনা, বিয়ে শাদির সম্পর্ক পাতাবেনা, লেনদেন ও মেলা মেশা করবেনা, এবং কোন খাদ্য ও পানীয় দ্রব্য তাদের কাছে পোঁছাতে দেওয়া হবেনা।" আবু তালেবের সাথে একাধিকবার কথাবার্তার পরও আবু তালেব রাসূল (স) কে নিজের অভিবাবকত্ব থেকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত হননি। এই জন্য বনু হাসেম ও তাঁর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে পারেনি, ফলে বাধ্য হয়েই তারা ঐ চুক্তি সম্পাদন করে। এই চুক্তির ফলে সমগ্র বনু হাসেম গোত্র শিয়াবে আবু তালেব নামক উপত্যকায় অবরুদ্ধ হয়ে গেল।এই অবরোধের মেয়াদ প্রায় দীর্ঘ তিন বছর ছিল, এই সময়টা বনু হাসেম গোত্রের লোকেরা যে ভাবে অতিবাহিত করেছিল, তার বিবরণ শুনলে পাষানের হৃদয় ও গলে যাবে। তারা খাদ্যের অভাবে কাঁটাযুক্ত গাছের পাতা চিবিয়ে খেয়েছিল, শুকনো চামডাকে সিদ্ধ করে আগুনে পুড়ে খেয়ে দিনাতিপাত করেছিল। নিষ্পাপ শিশুরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় যখন চিৎকার করতো তখন তাদের মর্মভেদী কান্নার শব্দ শুনে কাফেরেরা অট্টহাসিতে পেটে পড়তো! তবুও প্রিয় নবী ধৈর্যহারা হননি, মনোবল ও হারাননি। স্বয়ং আল্লাহ যার বন্ধু তাঁর আবার দুঃখ কিসের? সবইতো আল্লাহর দ্বীনের জন্য!
বন্দীদশা কেটে যাবার পর নবুয়তের দশম বছরে প্রিয় নবী (স) আরোও কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন। এই বছর রাসূল (স) তাঁর প্রিয়ে স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা) কে ও তাঁর আশ্রয়দাতা চাচা আবু তালেবকে হারিয়ে তিনি চরম মানসিক কষ্টে নিপতিত হন। প্রিয় স্ত্রী খাদিজা (রা) ইসলামের জন্য ও রাসূলের জন্য তার প্রেম-ভালবাসা, ধন-সম্পদ, সুখ-শান্তি সব কিছুই উজাড় করে দিয়েছিলেন। তাঁর মত একজন ত্যাগী স্ত্রী ও আবু তালেবের মত একজন আশ্রয়দাতাকে হারিয়ে তিনি মানসিক ভাবে কতটুকু কষ্টের মধ্যে ছিলেন তা ভাবতেও খুব কষ্ট হয়। তবুও প্রিয় নবী ধৈর্যহারা হননি, আল্লাহর উপর শতভাগ আস্থা রেখে দ্বীনের কাজ করে গেছেন।
হযরত খাদিজা (রা) ও আবু তালেবের মৃত্যুর পর কোরায়েশরা প্রিয় নবীর সাথে চরম অসভ্য আচরন শুরু করে দিল। তারা আরবের বখাটে ও দুষ্ট ছেলেদেরকে লেলিয়ে দিল, নামাযের সময় তারা হৈচৈ করতো, হাত তালি দিত, পথ চলার সময় তাঁর উপর নোংরা বজ্য নিক্ষেপ করতো, দরজার সামনে কাঁটা বিছিয়ে দিত। কখনো প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতো, পবিত্র মুখের উপর মাটি নিক্ষেপ করতো, এমনকি কোন কোন নরপশু এমন জঘন্য বেয়াদবি পর্যন্ত করেছে যে, প্রিয় রাসূল (স) এর পবিত্র জ্যোতির্ময় মুখ মোবারকে থুতু নিক্ষেপ ও করেছিল। একবার ইসলামের শত্রুরা সদলবলে রাসূল (স) এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাঁর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) বর্ননা করেন, রাসূল (স) এর উপর কোরায়েশদের পক্ষ থেকে এমন বাড়াবাড়ি আর কখনো দেখিনি।
একদিন প্রিয় নবী (স) ভোরে বাড়ি থেকে দাওয়াতি কাজের উদ্দেশ্যে বের হলেন, সারাদিন ধরে মক্কার বিভিন্ন অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। কিন্তু পুরো দিনটা অতিবাহিত করেও তিনি সেইদিন এমন একজন লোক ও পেলেন না যে তাঁর কথাগুলো মনযোগ দিয়ে শুনবে। সে সময় ইসলামের শুত্রুরা যে নতুন কর্মপন্থা গ্রহন করেছিল তা হলো, রাসূল (স) কে আসতে দেখলেই সবাই সটকে পড়তো, কারণ তাঁর কথা শুনলেই জটিলতা দেখা দেয়, আর বিরোধিতা ও তর্কবিতর্ক করলে জটিলতার আরোও বিস্তার ঘটে। কোরায়েশদের এই কর্মপন্থা বেশ সফল হলো। ২/১ জনের সাক্ষাৎ পেলেও তারা গুন্ডামি ও গালিগালাজ এর মাধ্যমেই জবাব দিল। তিনি যাদের কে সত্যের ও কল্যানের পথের সন্ধান দিতে আহবান করলেন তাদেরই এমন নিচক জবাব পেয়ে তিনি বুকভরা হতাশা, চরম মানসিক কষ্ট ও বিমর্ষতা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসলেন।
রাসূল (স) যখন বুঝতে পারলেন মক্কার জমিনের অবশিষ্ট মানুষ গুলো ইসলামের জন্য অনুপযোগী হয়ে গেছে, তখন একজন বিচক্ষণ নেতা হিসেবে ইসলামের দাওয়াত কে মক্কার বাহিরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করলেন। তিনি মক্কার বাহিরের অনেক গুলো জায়গার মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদে ভরপুর তায়েফকেই বাছাই করলেন। এই অঞ্চলের লোকগুলো ছিল সচ্ছল, বিলাসপরায়ণ। একদিন সকালে প্রিয় নবী জায়েদ বিন হারেসা (রা) কে নিয়ে তায়েফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তিনি সর্বপ্রথম সাকিফ গোত্রের তিন ভাই আবদ ইয়ালিল, মাসউদ ও হাবিবের সাথে সাক্ষাত করলেন, কারণ তারা ছিল তায়েফের মধ্যে প্রভাবশালী এবং তাদের তিন জনের ঘরেই কোরায়েশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী থাকার সুবাদে তিনি তাদের ব্যাপারে খুব আশাবাদী ও ছিলেন। কিন্তু তিন ভাই প্রিয় নবীর ইসলামের সুমহান দাওয়াতের বিপরীতে যে জবাব গুলো দিয়েছিল তা এই মহামানবের বুকে বিষ মাখা তীরের মতই বিদ্ধ হয়েছিল, যা তিনি বিন্দু মাত্র কল্পনাও করেননি। তবুও তিনি শুধু মাত্র আল্লাহর দ্বীনের স্বার্থে পরম ধৈর্য সহকারে নিষ্ঠুর মর্মঘাতী কথাগুলো শুনলেন এবং তাদের কাছে অনুরোধ করলেন, তাদের কথাগুলো নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে এবং বাহিরের কাউকে উস্কে না দিতে। কিন্তু তারা উল্টোটাই করলো! শহরের সব দুষ্ট ছেলেদেরকে প্রিয় নবীর পেছনে লেলিয়ে দিল। তারা প্রিয় নবী কে পাথর মেরে রক্তাক্ত করে দিল, প্রিয় নবী বার বার বেহুশ হয়ে পড়ে যেতে লাগলেন। পাহাডের ফেরেশতারা এই অবস্থা দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না, তারা রাসূল (স) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি শুধু অনুমতি দেন, এই জালিম তায়েফ বাসিকে পাহাড় চাপা দিয়েই পিষিয়ে পেলবো। কিন্তু দয়ার নবী, রহমতের নবী ফেরেশতাদের জবাবে বললেন, হয়তো এরা আমাকে বুঝতেছে, কিন্তু এদের প্রজন্মরা হয়তোবা ইসলাম কবুল করতে পারে। আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা করো। ২৩ বছরের নবুয়তের জীবনে প্রিয় নবী হাজারো জুলুম নির্যাতনের সম্মুখীন হলেও তায়েফের ময়দান ছিল সবচেয়ে নির্মম।তবুও তিনি হতাশ হননি, ধৈর্যহারা হননি।
শুধুমাত্র আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি হাজারো জুলুম, নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রকে যেভাবে হাসি মুখে বরণ করে নিয়ে ধৈর্য ও ত্যাগের মাধ্যমে মোকাবেলা করেছিলেন তা মানব ইতিহাসে তুলনাহীন। শুধুমাত্র আল্লাহর দ্বীনের জন্য তিনি তায়েফের ময়দানে রক্তাক্ত হয়েছিলেন, ওহুদের ময়দানে দান্দান মোবারক শহীদ করেছিলেন এবং নিজের ব্যক্তিগত সুখ-শান্তির কথা বিন্দুমাত্র ও চিন্তা না করে মানবতার মুক্তির জন্যই সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন। কাফের ও মুশরিকদের লোভ লালসা, জুলুম নির্যাতন ও ভয়ভীতি সবকিছুকেই ধৈর্য ও ত্যাগের মাধ্যমে মোকাবিলা করে, কুফরী শক্তির সাথে কোন প্রকার আফোস না করে সফলভাবেই মহান আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করেছিলেন।
প্রিয় নবী (স) নবুয়তের দীর্ঘ ২৩ বছরের মধ্যে আল্লাহ প্রদত্ত কোরানের জ্ঞান দিয়ে অটুট ধৈর্য ও ত্যাগের মাধ্যমে সমাজ থেকে জাহেলিয়াতের কালো অন্ধকারকে নিশ্চিহ্ন করে ইসলামকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যা তিনি নবুয়তের পূর্বেকার ২৩ বছরে সমাজের যুবসমাজকে নিয়ে হিলফুল ফুজুল প্রতিষ্ঠা করেও পারেননি। নবুয়তের পূর্বে শুধুমাত্র ভাল মানুষের স্বীকৃতি স্বরুপ আল-আমিন উপাধি পেয়েছিলেন, সমাজ থেকে জাহেলিয়াতের কালো ছায়া বিন্দুমাত্র ও অপসারণ করতে পারেন নি। এই থেকেই প্রমাণিত হয় যে, এই পৃথিবীতে ইসলাম তথা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের কোনই বিকল্প নাই।
আজ ১৪০০ বছর পরেও প্রিয় রাসূল (স) এর উপর নাযিলকৃত কোরান সম্পুর্ণ অপরিবর্তিত আছে, রাসূল (স) এর প্রতিটা বানী অক্ষত আছে। রাসূল (স) আল্লাহর ইকামতে দ্বীনের কাজ একাই শুরু করেছিলেন, কিন্তু আজ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৫% রাসূল (স) এর অনুসারী। আজ শুধু অনৈক্যে ও ক্ষমতার লোভের কারনেই মুসলিমেরা সারাবিশ্বব্যাপী জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ ১% ইহুদীবাদ সারাবিশ্বকে আজ নিয়ন্ত্রণ করতেছে। আজ আমরা আমাদের ঈমানী শক্তিকে হারিয়ে প্রতিনিয়ত অমুসলিমদের গোলামিতে আবদ্ধ হচ্ছি। ইসলামের সেই স্বর্ণ যুগকে পিরিয়ে আনতে হলে শুধুমাত্র ঐক্যের প্রয়োজন। কোন পীর কি বলেছে, কোন বুজুর্গ কি বলেছে তা না দেখে আজ আমাদের দেখতে হবে আল্লাহ কোরানে কি বলেছেন আর রাসূল (স) হাদিসে কি শিক্ষা দিয়েছেন তাহলেই ইসলামের বিজয় ইনশাআল্লাহ আসবেই।
আজ আমরা যদি দুনিয়ার সব মতবাদ কে ছুড়ে পেলে ধৈর্য ও ত্যাগের মাধ্যমে প্রিয় রাসূল (স) এর দেখানো পন্থায় আল্লাহ প্রদত্ত জিবন বিধান কে ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জিবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলেই সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, মানবতা মুক্তি পাবে, সমাজ থেকে আধুনিক জাহেলিয়াতের কালো অন্ধকার দূর করে আল্লাহর জমিনে ইসলামকে আবারো সু-প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। তবেই আমাদের জীবন স্বার্থক হবে, আমরা দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি পাবো। সর্বোপরি প্রিয় রাসূল (স) এর যোগ্য উম্মত হতে পারবো। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসূল (স) এর জিবনী থেকে শিক্ষা গ্রহন করে তা বাস্তব জীবনে আমল করার তৌফিক দান করুক।
বিষয়: বিবিধ
২৬৫২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নাহলে আল্লাহর রাসুলে(সাঃ)র পন্থা অনুযায়ী এসব জালিমদের তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দেওয়াই মানবতার জন্য কল্যাণকর।
আপনার বর্ণনা ও উপস্হাপনার সাবলীলতা ভাল লাগার পরশ বুলিয়ে যায়! পাঠককে বিষয়টি বুঝার সাথে সাথে আনন্দময় ক্ষণও উপহার দিয়ে যায়!
শুভ কামনা ও জাযাকাল্লাহু খাইর!!
অত্যাচারির হাত কখনই লম্বা হয়না। ইসলাম ও এক লাফে প্রতিষ্ঠিত হয়না। সবর আর কুরবানি ইসলাম কে প্রতিষ্ঠিত করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন