মেয়েরা হচ্ছে কাচের গ্লাসের মত!!

লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৫৪:৫২ রাত



ছেলেদের অনেক কেলেঙ্কারী থাকলেও সমাজে চলে কারণ ছেলেরা হচ্ছে লোহার মত, মচকে গেলে অথবা ভেংগে গেলেও কেজি হিসাবে বিক্রি করা যায়!!!!!

মেয়েদেরজীবনে একবার কেলেঙ্কারী হয়ে গেলে সে আর সমাজে চলেনা, হোক সেটা ইচ্ছাকৃত ভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃত ভাবে, কারণ মেয়েরা হচ্ছে কাচের গ্লাসের মত, যেটা একবার ভেংগে গেলে দ্বিতীয় বার কোন কাজে আসেনা!! কলংকিত জীবনের গ্লানি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত্ব পর্যন্ত বহন করতে হয়।

আজকের যুগের নাস্তিক্যবাদী হলুদ মিডিয়া নারী জাতীকে ভোগ্যপণ্যে রুপান্তরিত করেছে। আধুনিকতার নামে কৌশলে ইজ্জত হরণ করতেছে! স্বাধীনতার নামে নারী সমাজকে উলংগ করে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।ক্রমান্বয়ে নারীদের কে জাহিলিয়াতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হত। জাহেলিয়াতের যুগে কন্যাসন্তানদের অন্তত দুনিয়াতে আসার সুযোগ দেওয়া হত, কিন্তু বর্তমানে আধুনিক জাহেলিয়াতের যুগে মাতৃগর্ভের মধ্যেই কন্যা সন্তানদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, দুনিয়াতে আসার সুযোগ টুকুও দেওয়া হচ্ছেনা!!!

সন্মানীত বোনেরা, তোমাদের কে আল্লাহ এতবেশি সন্মানীত করেছেন যে, তোমাদেরকে শুধু স্বামী ও পিতার সম্পত্তিতে অধিকারী বানিয়ে ক্ষান্ত হননি বরং আল্লাহ জান্নাত তোমাদের পায়ের নিচে ঘোষনা করে দিয়েছেন। ইসলাম নারীদের যে বিপুল মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে তা যদি তারা পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারতো, তাহলে হয়তো তারা সেই অধিকার ও মর্যাদা আদায় করার জন্য আন্দোলন করতো! হে আপুরা, তোমরা তো আমার মায়ের জাতি, তোমরা কি চাওনা সমাজের সকল মানুষ তোমাদেরকে সন্মান করুক???

সুতরাং আপুদের অনুরোধ করবো, দয়া করে ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে বুজার ও মেনেচলার চেষ্টা করুন। হিজাব কে মন থেকেই কবুল করুন, আপনার নিরাপত্তার জন্য হিজাবই যথেষ্ট।

বিষয়: বিবিধ

২১২৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

288934
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১২
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : Tahole ki cheleder islam na manleo chole??

Eita to ojuhat o hoilo na, sref vondami hoilo ...
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
240183
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাইয়া পর্দাতো নারী পুরুষ উভয় কে মেনে চলতে কোরান নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়েদের পর্দা করা প্রয়োজন নয়কি? সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
288948
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৫
ফেরারী মন লিখেছেন : যথেষ্ট ভালো পরামর্শ। আশা করি মেয়েরা মেনে চলবে।
288964
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের পরামর্শ ও উৎসাহ আমার লিখার প্রেরণা যোগাবে।@ফেরারী মন।
288982
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২১
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : ছেলে-মেয়ে উভয়কেই শরীয়তের বিধান মেনে চলতে হবে। কারণ সমাজের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আল্লাহর কাছে দায়বদ্ধতা। সেই দায়বদ্ধতার ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
ভালো লাগ্লো লেখাটি। জাযাকাল্লাহ।
289052
২৮ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৫৯
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : পর্দা হচ্ছে ফরজে আইন, মানে সবচেয়ে বড় ফরজ। আজ সমাজে পর্দার বিধান শিথিল হওয়ার কারনেই ধর্ষণ বেড়ে গেছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ @প্রিয়ন্তি
296567
২২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৮
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : হুম একবার নষ্ট হয়ে গেলে সেটা আর ফিরে আসে না। ভালো লেখা ধন্যবাদ
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১১
240087
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাইয়া, ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারনেই আজ মেয়েরা অপমানিত ও লাঞ্চিত হচ্ছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
296605
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:১১
কাহাফ লিখেছেন :
স্বীয় সম্মান-মর্যাদা কেই যদি স্বেচ্ছায় ভূলন্ঠিত করে তাহলে অন্যের বেশী কিছু করার থাকে না!
তেমনি... নারী জাতির বৃহতাংশই নিজেদের ব্যাপারে বেখেয়াল! ওদের নিয়ে খেলবে না কী হবে........।!!!
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:২৭
240102
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : কাহাফ ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আফসোস, নারী জাতি বুঝতে পারলোনা, তাদের প্রকৃত সন্মান কিসের মধ্যে!!!!
296636
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৮
হতভাগা লিখেছেন :
''কারণ মেয়েরা হচ্ছে কাচের গ্লাসের মত, যেটা একবার ভেংগে গেলে দ্বিতীয় বার কোন কাজে আসেনা!!''


০ এখনকার সমাজ এই ধারনা থেকে বের হয়ে এসেছে । নাট্যভিনেত্রী প্রভার আমাদের সামনে তার জ্বলন্ত উদাহরণ ।

চলচিত্র অভিনেত্রী হ্যাপী সমাজকে বড় একটা লেসনই দিচ্ছে ।

মেয়েরা এখন আর আগের মত মুখ বুঝে সহ্য করার মানসিকতায় নেই ।



''ইসলাম নারীদের যে বিপুল মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে ......''


০ আর নারীরা ইসলামের বিপরীতে মনুষ্য আইন নিজেদের সুবিধা মত ব্যবহার করছে ।
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১০
240184
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাইয়া,আপনি হ্যাপি,লাকি,এবং ঐশীদের কর্মকান্ডে কিভাবে সন্তুষ্ট হতে পারলেন বুঝলাম না। একটা মেয়ের যখন একবার বদনাম হয়ে যায়, সমাজের কেউ আর তাকে গ্রহন করেনা। আর এই বদনামির কথাগুলো যত ছডাতে থাকে ততই পায়খানার মতই গন্ধ বের হয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
297396
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৩২
নাছির আলী লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫৭
241273
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : নাছির ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১০
298089
৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
নিরবে লিখেছেন : ভালো লাগলো
১৬ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:২২
243057
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ, আপনাদের ভাল লাগাই আমার লিখার সার্থকতা।
১১
300397
১৬ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:১৮
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন :
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : "ছেলেদের অনেক কেলেঙ্কারী থাকলেও সমাজে চলে কারণ ছেলেরা হচ্ছে লোহার মত, মচকে গেলে অথবা ভেংগে গেলেও কেজি হিসাবে বিক্রি করা যায়!"!!!!


আপনার এই কথাটা কিন্তু ধর্ম বলে নাই। ধর্ম বলছে অপরাধ/কেলেঙ্কারী হচ্ছে ঘৃনীত কার্য। সেটা ছেলে করুক বা মেয়ে করুক। দঃখ জনক হলেও সত্য যে আজকের কিছু কিছু ইসলাম পন্থী মেয়েদের দোষ নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করে। যার ফলে ইসলাম বিদ্ধেষিগন নারীবাদী হওয়ার সুযোগ পায় ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৯
243075
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : এমরুল কায়েস ভুট্টো ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি ঐ কথাটি দ্বারা আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ইসলামের আইন সবার জন্য সমান, ণারী পুরুষ উভয়কেই পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শাস্তি ও সমান।
১২
300445
১৬ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:৪৩
রুপসী বাংলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৬ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৩৮
243124
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৩
309970
২০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:৩১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ভাই পড়ে নিলাম! আপনার উপস্থাপনা এবং আহবান দুটোই অনেক সুন্দর সাবলীল হয়েছে। এ যেন আমার লিখারই পূর্ণতা দিয়েছে।

নারী কেন বাবার সম্পত্তিতে ভাইয়ের সাথে দুইভাগের এক পেয়ে মন করে বসে থাকবে? সে স্বামীর বাড়িতেও পাচ্ছে। এতো গেলো সম্পত্তির ভাগের কথা। সম্মান?

দেখুন আল্লাহর রাসূল কি বলেন-
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, । আমি রাসূল কে প্রশ্ন করিঃ 'নারির ওপর সর্বাধিক অধিকার কার? তিনি উত্তরে বলেন,ঃ তার স্বামীর। তারপর আমি জিজ্ঞেস করি, পুরুষের ওপর সর্বাধিক কার? তিনি উত্তর দেন যে, তার মায়ের।

দেখুন। স্ত্রীর উপর স্বামীকে অগ্রাধাকিরা দিয়েছেন, অথচ স্বামীর ওপর স্ত্রীকে অগ্রাধিকার দেন নি সত্য, কিন্তু সন্তানের ওপর? বাবা কে দিয়েছেন অগ্রাধিকার? দেন নি। দিয়েছেন মা কে। তাহলে নারী পুরুষের মর্যাদা কতইনা সুন্দর ভাবে সমান করে দিয়েছেন।

আর মূর্খরাই কেবল বেহুদা তর্ক করে।
২৪ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
251902
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File