এক দিরহামের জন্য দেশের সন্মান বিসর্জন!!!
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২৩:১২ দুপুর
আবুধাবি শহরের পাবলিক বাস সার্ভিস এর মধ্যে যাত্রীদের ভাড়া উঠানোর জন্য কোন কন্ট্রাক্টর থাকে না, এই এয়ার কন্ডিশন, অটোমেটিক ড়োর সিস্টেম ও সি.সি ক্যামেরা বিশিষ্ট বাসগুলোতে শুধুই একজন ড্রাইভার থাকে। এই বাসের ভাড়া প্রথম এক বছর ফ্রি ছিল তারপর এক দিরহাম, বর্তমান ভাড়া মাত্র দুই দিরহাম!!! (আবুধাবি শহরের যেকোনো জায়গায়)! ড্রাইভারের পার্শ্বে ১ম ড়োরের সাথে একটা বক্স থাকে, ওই বক্সে দুই দিরহাম ফেলে তারপর সিটে গিয়ে বসতে হয়।
আমাদের বাংলাদেশের মানুষরূপী কিছু জানোয়ার ওই বক্সে আরব-আমিরাতের দিরহাম না ফেলে সেখানে বাংলাদেশি এক টাকার কয়েন ফেলে!!! যেটা সি.সি ক্যামেরায় ধরা না পড়লেও পরবর্তীতে কাউন্ট করার সময় ধরা পড়ে!!! যার জন্য বাংলাদেশিরা প্রতারক হিসেবে অন্যদেশীদের কাছে পরিচিত হচ্ছে!!! কিছু বাংলাদেশি মানুষরূপী জানোয়ারের কারণে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সন্মান প্রতিনিয়ত ক্ষুন্ন হচ্ছে!!!
এইছাডাও আরো অনেকগুলো অপকর্মের সাথে কিছু বাংলাদেশি জডিত আছে, যা শুনলে আপনারা আরও বেশি অবাক হবেন।এই সমস্ত কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আরব-আমিরাতের শ্রমবাজারে যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্বেও আজ প্রায় ২.৫ বছর ভিসা বন্ধ হয়ে আছে!!!
এই সমস্ত লোকগুলো বাংলাদেশি কয়েন দিয়ে হয়তো ভাবতেছে সে বাসের ড্রাইভার কে ঠকিয়ে সে সাময়িক লাভবান হয়ে গেছে! আসলেই কি তাই? তারা যদি বুঝতে পারতো যে তারা ড্রাইভারের হক নষ্ট করে কতটুকু পাপের অধিকারী হয়েছে, আর দেশের সন্মান কতটুকু বিসর্জন দিয়েছে তাহলে হয়তো বাংলাদেশিরা আজ প্রতারক হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিত হতো না। আর মুসলিম হিসেবে আমরা সকলেই জানি, যে কারো হক নষ্ট করে, আল্লাহ তাকে কখনো ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না ঐ ব্যক্তি ক্ষমা করে।
তাই আসুন, আমরা মুসলিম হিসেবে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে মেনে চলার চেস্টা করি, তাহলেই আমরা দুনিয়াতে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি পেতে পারি।
বিষয়: বিবিধ
২১৯৭ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাময়িক ক্ষুদ্র স্বার্থ চিন্তা করে বড় বড় প্রাপ্তি কে অবহেলায় হারানো বাংলাদেশীদের স্বভাবজাত বিষয় যেন!
অন্ততঃ মুসলিম হিসেবেও এ সমস্ত অন্যায় হতে বেচে থাকা জরুরী!
মন্তব্য করতে লগইন করুন