জঙ্গিবাদ দমনে জনসচেতনতাই হতে পারে প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় অস্ত্র
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:০১:১১ সন্ধ্যা
রূপকথার নোংরা দানবের ঝরা রক্ত থেকে জন্ম নিত আরেক দানব। জঙ্গিবাদের উপাসক নোংরা দানবদের অবস্থাও প্রায় অভিন্ন। মানবতার এ শত্রুদের দমনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর সাফল্য দুনিয়ার যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। তবে একের পর এক অভিযান চালিয়ে তাদের কোমর ভেঙে দেওয়া সম্ভব হলেও বিষদাঁত যে রয়ে গেছে তা সহজে অনুমেয়। সন্দেহ নেই, জঙ্গিবাদ একটি বিশ্বজনীন সমস্যা এবং বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের জন্য তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই গ্রহের শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশকে গ্রাস করতে চলেছে জঙ্গিবাদের অবাঞ্ছিত ধ্যান-ধারণা। ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি। অথচ পবিত্র ধর্মের নামেও জঙ্গিবাদ থাবা বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জঙ্গিবাদের ধারক-বাহকরা পাকিস্তানের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে কেড়ে নিয়েছে। আফগানিস্তানের পরিণতিও সবার জানা। ইরাক এবং সিরিয়ায় চলছে তাদের বীভৎসতার মহোৎসব। সোমালিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের অস্তিত্বকে তারা চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করছে জঙ্গিবাদের অপচর্চা। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ চর্চার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা জড়িত বলে মনে করা হয়। একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছিল মানবতার যেসব শত্রু, তাদের বিচার রোধে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল দুই বছর আগে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্যত জিহাদ ঘোষণা করেছে জঙ্গি নামের বিপথগামীরা। আমরা আশা করব জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনাশের ষড়যন্ত্র থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তবে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করলে চলবে না। ঘৃণ্য এই দৈত্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতাই হতে পারে প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোন উত্তর আছে আপনার কাছে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন