বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ঠাই নেই
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ৩১ আগস্ট, ২০১৭, ০৫:১০:৫৫ বিকাল
আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে কোনোভাবেই জঙ্গীবাদের ঠাই হবে না। অজ্ঞানতার কুহকে পড়ে যারা অশান্তির আগুন জ্বালানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত, যেভাবে অভিযান শুরু হয়েছে তাতে তাদের বিলুপ্তিও খুব বেশি দূরে নয়। চলমান জঙ্গী তৎপরতায় শঙ্কিত ও বিপন্ন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন শান্তিপ্রিয় সব মানুষের প্রতি তাই কবির ভাষায় বলি – ভয় নাই ওরে ভয় নাই। ধর্মের নাম ব্যবহার করে অশান্তির অগ্নিপূজারীরা কি বাংলাদেশে সফল হবে? কারণ, আমরা দেখেছি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দারুণ সফলতার সঙ্গে ওদের ঠেকিয়ে দিচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি ধর্মের নাম ব্যবহার করে খুনখারাবির হোতাদের প্রতি মানুষের সুতীব্র ঘৃণা। জনগণের এই ঘৃণাই ওদের দেশছাড়া করবে – এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি একটি বড় ভরসার দিক বটে, তবে শুধু একে আঁকড়ে ধরে বসে থাকলে মোটেই চলবে না। মনে রাখতে হবে, এই অপশক্তির সঙ্গে কোনো-না-কোনোভাবে বাইরের অপশক্তিও জড়িত। তাছাড়া আরো একটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে, এই দুষ্টচক্রে জড়িতরা কিন্তু পাহাড়ে-জঙ্গলে থাকছে না, থাকছে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে। ফলে ওদের আলাদা করে শনাক্ত করা খুবই মুশকিল। তা করতে গেলে ভুল হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে বেশি। তাই জঙ্গি দমনের দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপে সাধারণ জনগণকে কিভাবে বেশি করে সম্পৃক্ত করা যায়, সেটিও ভাবতে হবে। আরো একটি বিষয় বিবেচনার দাবি রাখে। আমরা সর্বশেষ কয়েকটি অভিযানের খবর পড়ে দেখেছি, আবাসিক এলাকার ভেতরে ”জঙ্গি আস্তানা আছে” মর্মে খবর পেয়েই অভিযান চালাতে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের এ সক্রিয়তা যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি এর বিপদের দিকও আছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে অতিমাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের নিকটতম স্বজনকে খুন করার ”ঐতিহ্য”ও এদেশের একশ্রেণীর মানুষের আছে। অবশ্য আশার কথা যে, এরকম ”মানুষের” সংখ্যা নিতান্তই কম। বরং ভাষার জন্য, দেশের জন্য, মানুষের জন্য জান-মাল উৎসর্গকারী এবং উৎসর্গ করতে প্রস্তুত মানুষের সংখ্যাই এদেশে অগণিত। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেই সংখ্যাহীন মুক্তপ্রাণ মানুষ একবার জেগে উঠলে ওই দুরাচার জঙ্গীর দল পালানোর পথই খুঁজে পাবে না – এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
বিষয়: বিবিধ
৬৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন