আঁধার থেকে আলোর পথে বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৯ জুলাই, ২০১৭, ০৫:০৮:৫০ বিকাল
দেশ এক সময় এমন অবস্থায় ছিল যেন মনে হচ্ছিল এই দেশের ভবিষ্যৎ শেষ। ঠিক সেই সময় বিশ্ব স্বীকৃত অনন্য নেতৃত্বের দূরদর্শীতা প্রসূত সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা আর রাষ্ট্র পরিচালনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনার পুনর্বাসনে বাংলাদেশ এখন অব্যাহত গতিতে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছ। কিন্তু একটি চিহ্নিত অপশক্তি বাংলাদেশের এই সাফল্যকে ম্লান করে দিতে ধর্মীয় উগ্রবাদকে উস্কে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা শুরু করেছে। দেশের স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের অনির্বাণ চেতনায় অবিশ্বাসী অতীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা একটি চিহ্নিত অপগোষ্ঠি তাদের জঙ্গিপ্রেম, রাজাকারপ্রেম আছে তার প্রমান দিতে চাচ্ছে। বর্তমানে দেশের গণমানুষও এখন জঙ্গি-রাজাকারদের বিরুদ্ধে একাট্টা। তাই জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে, স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে বিরোধী দল রাজাকার ও জঙ্গিদের জন্য মায়াকান্না অব্যাহত রেখেছে বলেই বিএনপি আজ জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে দেশের সাধারণ মানুষও দলটির উপর কোন আস্থা রাখতে পারছে না, সাধারণ মানুষকে দলে ভিড়াতে কোন আস্থাশীল কার্যক্রমও তারা তুলে ধরতে পারছে না। গত এক দশকে জাতীয় জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেই খালেদা জিয়ার বিএনপি উপযুক্ত গণমুখী ভূমিকা পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিএনপির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ থেকে বিচ্যুতি। বাংলাদেশের মানুষ এমন দলের প্রতি কখনোই সমর্থন যোগাবে না। তাদের ষড়যন্ত্রে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল জঙ্গীবাদের মতো ভ্রান্ত কৌশলের আগ্রাসনের। তবে যে পরীক্ষিত নেতৃত্বের দূরদর্শীতায় দেশের আজকের এই অর্জন তিনি কি আর কৌশল নির্ধারণে ভুল করতে পারেন? শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রত্যাশী জনতাকে সাথে নিয়ে তিনি দেশব্যাপী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছেন দুর্জয় প্রতিরোধ। দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের। তার সুযোগ্য দিক নির্দেশনাতেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একের পর এক সফল অপারেশনে দেশ আজ প্রায় জঙ্গীবাদের শঙ্কামুক্ত অবস্থায় উপনীত। এরই ধারাবাহিকতায় দেশ কাঁপানো জঙ্গিগোষ্ঠী নব্য জেএমবিসহ বারোটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। গত বছরের জুলাই মাসে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে লাইমলাইটে আসে নব্য জেএমবি। এর পর থেকে সংগঠনের সদস্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। দেশকে জঙ্গিমুক্ত করার সরকারি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার। নানা অপারেশনের মাধ্যমে অনেক জঙ্গিকে নির্মূল করেছে সরকার। প্রমান করেছে ইচ্ছা থাকলে দেশের ভাল করতে চাইলে তা করা সম্ভব। তবে একটি চিহ্নিত মহল বাংলাদেশে আইএস আছে বলে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। এরাই জঙ্গিদের লালনপালনের পাশাপাশি দেশে জঙ্গীবাদকে উস্কে দিচ্ছে। কিন্তু জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় এবার তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে উঠবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নব্য জেএমবিসহ নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো যাতে আর মাথা উচু করতে না পারে সেদিকে ভালভাবে নজর রাখতে হবে। সম্প্রীতির এই বাংলাদেশকে যারা অশান্ত করতে চায় তাদের রুখে দিতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের সংস্কৃতিতে আস্থাশীল বলেই নিকট ভবিষ্যতে জঙ্গীবাদের শঙ্কামুক্ত বাংলাদেশের সম্ভাবনায় জনমনে স্বস্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এই সুবাতাস বয়েই চলবে আগামীতেও। জনগণ দেখছে কিভাবে দেশের নিরাপত্তা বাহিনি তৎপর হয়ে দেশ থেকে সকল জঙ্গি দূর করছে। এটাই বর্তমান সরকারের সফলতা।
বিষয়: বিবিধ
৬৩৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন