উন্নয়নের পক্ষ্যে বাংলার জনগণ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২২ জুলাই, ২০১৭, ০৩:২১:৪২ দুপুর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের রোডম্যাপ বা পথনির্দেশিকা বা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ গত ১৬ জুলাই এই রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলে ফেললেন এটি বর্তমান সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করানোর নীলনকশা। আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় টিকবেই। তাই আগেভাগে কিছু একটা বলে রাখলেন। বেচারা ফখরুল কখন কি বলতে হবে, কি বলা উচিত, কি করা উচিত নয় তাও জানেন না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে এমনটি হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে পেট্রোলবোমা হাতে নিয়ে যে ভুল করেছেন তাতে করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। রাজনীতির ব্যাপার। ভুলের খেসারত দিতেই হয়। তারাও দিচ্ছেন। একটি ট্রেন মিস করলে সেই ট্রেন আর ধরা যায় না, পরেরটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এখন তো দেখা যাচ্ছে পরেরটাও মুখের দোষে অনিশ্চিত হবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া দলটির হাতে দ্বিতীয় কোন অপশন নেই। এবার ভুল করলে রাজনীতি থেকে না-ই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ২০১৩-তে জামায়াত-শিবিরের প্ররোচনায় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দন্ড থেকে বাঁচাতে এবং ২০১৪-তে নির্বাচন বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করে যা হারিয়েছে : ১। সংসদের বাইরে রয়েছে, ২। রাজপথেও নেই, ৩। নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের আস্থা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে, ৪। বিরোধী দলে থেকেও জনগণের কাছে আস্থাশীল পজিটিভ রাজনীতি করা যে যায় তা প্রমাণ করতে ব্যর্থতা, ৫। ভোটার জনগণের কাছেও ‘আউট অব সাইট, আউট অব মাইন্ড’ ইত্যাদি। সর্বোপরি যে দুর্বলতা অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে তা হলো চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার পুত্র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতির মামলায় শাস্তির আশঙ্কা। কিছু মিডিয়া ‘দুই নেত্রী’ ‘দুই নেত্রী’ বলে যত চিৎকারই করুক না কেন তা সমাজ রাষ্ট্রে এতটুকু প্রভাব ফেলেনি। বরং গত ৪ দশক ধরে নেত্রী একজনই এবং তিনি হলেন সময়ের সার্থক সাহসী দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সারাবিশ্বে দশজনের বেশি নেই। এই দশজনের মধ্যেও শেখ হাসিনার অবস্থান প্রথম দিকে। পক্ষান্তরে বেগম খালেদা জিয়া নিহায়তই চেয়ারপার্সন। মিডিয়া তাকে ‘ম্যাডাম’ ‘আপোসহীন নেত্রী’ ‘দেশনেত্রী’ কত কিছু যে বানাল কোনটাই কাজ করল না। পক্ষান্তরে একটি উদাহরণই যথেষ্ট যে, শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ বা ‘ধরিত্রীর আদরের কন্যা’। এটি বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছেও বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে। তারা মনে করে তাদের ম্যাডামও তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু ফলাফল শূন্য। বিএনপিতেও দু’চারজন দেশপ্রেমিক কর্মী রয়েছে। তারা মনে করে শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার ব্যর্থতার ওপর দাঁড়িয়ে যেভাবে দ্রুতগতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাতে করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তার হাতেই থাকুক আর খালেদা জিয়ার উচিত হবে সরকারের কাজে সহযোগিতা করে জনগনের নিকট তাদের ইমেজ তৈরি করা। পুত্রের দিকে তাকিয়েও কোন লাভ হবে না, তারেক এখন রাজনীতির অর্থাৎ বিএনপি রাজনীতির বোঝা। জনগন আর বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ আছে উন্নয়নের পক্ষ্যে।
বিষয়: বিবিধ
৫৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন