খাঁচায় মাছ চাষকে বেগবান করতে আসছে নীতিমালা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৯ জুলাই, ২০১৭, ০৬:২১:৩৯ সন্ধ্যা
খাদ্য তালিকায় মাছ ছাড়া বাঙালিরা যেন কিছু কল্পনাই করতে পারে না। এ জন্য বাঙালিদের বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালিদের মাছের চাহিদা পূরণে নানা জাতের মাছ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। দিন দিন চাষের তালিকায় যেমন নতুন নতুন মাছের নাম যুক্ত হচ্ছে তেমনি চাষেও আসছে বৈচিত্র্য। মাছচাষীদের কাছে খাঁচায় মাছ চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্তমানে দেশের মৎস্য চাহিদার এক বড় অংশের যোগান আসছে এ পদ্ধতিতে করা মাছের চাষ থেকে। খাতটিকে বেগবান করতে খুব দ্রুতই নীতিমালা প্রণয়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। নতুন নীতিমালা হলে কারো আর বিচ্ছিন্নভাবে খাঁচায় মাছ চাষের সুযোগ থাকছে না, নিতে হবে অনুমোদন। পরিকল্পিত ও বৈধ উপায়ে মাছ চাষ, মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মৎস্য খাতে রফতানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যেই নতুন নীতিমালা করা হচ্ছে। বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি, মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, আমদানি-রফতানিসহ মৎস্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই এ নীতিমালার আওতায় আসতে হবে। আগামীতে প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সমিতিকে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কেউ আবেদন করলে তা উপজেলা কমিটি সরেজমিন যাছাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের মতামতসহ জেলা কমিটিকে পাঠাবে। জেলা কমিটি অনধিক ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর সংশ্লিষ্ট চাষী খাজনার রশিদসহ উপজেলা কমিটির কাছে আবেদন করবে। কমিটি ও চাষীদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য। এ মেয়াদকালের মধ্যেই চাষীকে নবায়নের জন্য আবেদন জমা দিতে হবে। জেলা কমিটি তা দেখে নবায়ন বা বাতিল করবে। এ চুক্তি হস্তান্তরযোগ্য নয়, যদি কেউ তা করে তাহলে তার চুক্তিপত্র বাতিল করা হবে। উল্লেখ্য, জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি হিসেবে থাকবেন, যেখানে সদস্য হিসেবে থাকবেন পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক, জেলা আনসার ও ভিডিপির কম্যান্ডান্ট, জেলা সমবায় অফিসার, সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক। আর সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন জেলা মৎস্য অফিসার। আর উপজেলা কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, যেখানে সদস্য হিসেবে থাকবেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, উপজেলা সমবায় অফিসার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার। উপজেলা কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন সিনিয়র বা উপজেলা মৎস্য অফিসার।
বিষয়: বিবিধ
৫৫১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন