ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে ৬৪ জেলায়
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৪ জুলাই, ২০১৭, ০৪:৫৭:৫৩ বিকাল
আমরা স্বপ্ন দেখি, আর অল্প কিছু দিনের মধ্যে দেশে দারিদ্র সীমার নিচে কোনো মানুষ বসবাস করবে না। রাষ্ট্রের সকল নাগরিক অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ মানুষের সকল মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারবে এবং সমাজে আর্থিক ও অন্য সকল প্রকারের বৈষম্য বিলীন হয়ে যাবে এবং সুশাসন নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি বলতে কিছু থাকবে না। রাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারণী বিষয়াদিসহ সবকিছুতেই জনগণের কর্তৃত্ব ও অংশগ্রহণ থাকবে। এটি ধনিকশ্রেণীর একচেটিয়া লুটপাটের ক্ষেত্র হবে না। বর্তমান সরকারের গৃহিত পদক্ষেপে দেশের মানুষ এখন স্বপ্ন দেখে এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে থাকবে কর্মজীবি মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতা আরো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এখন ৩ পার্বত্য জেলার ৪টিসহ দেশের আরো ৬৪ উপজেলা এই কর্মসূচির আওতায় আসবে। দারিদ্র্যপ্রবণ বলে চিহ্নিত ৬৪ উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম পর্যায়ে অর্থাৎ তিন ধাপে সম্প্রসারিত হবে। এই কর্মসূচিতে খাগড়াছড়ির ২ এবং বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির একটি করে মোট ৪ পার্বত্য উপজেলা রয়েছে। সম্প্রসারিত কর্মসূচির আওতায় আগামী বছরের মে মাস থেকে শিক্ষিত বেকার যুবকদের ৩ মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থী দৈনিক ১শ’ টাকা করে ভাতা পাবেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে দু’বছরের জন্য বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে দৈনিক ২শ’ টাকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। এই কর্মসূচির জন্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ৫৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার মধ্যে বর্তমান ২১৫ কোটি টাকা রয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অবশিষ্ট ৩৩০ কোটি টাকাও সরকারই দেবে। এই কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও বরগুনা জেলার ১৯ উপজেলার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৫৬ হাজার ৮০১ জন যুবকের মধ্যে ৫৬ হাজার ৫৪ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ৩৭ উপজেলায় ১ লাখ ১১ হাজার ১১৬ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৮২ জনের দৈনিক হাজিরাতে ২ বছরের জন্য বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে চাকরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক বাড়ির জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টির নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণের অংশ হিসেবে ২০১০ সালের ৬ মার্চ কুড়িগ্রামে এক অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির সূচনা করেন। ফলে কম শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরো বাড়বে। দারিদ্র বিমোচনে বর্তমান সরকারের গৃহিত পদক্ষেপসমুহ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
বিষয়: বিবিধ
৭৫৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শেয়ারবাজারের ৬০০০০ কোটি টাকা খাল্লাস করে দেওয়া হয়েছে ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা লুটে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে ঢালা হয়েছে ।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত টাকার পরিমান ৫৬০০ কোটি টাকার উপরে যা গত বছরের তুলনায় ২০ % বেড়েছে ।
এখন নতুন কাবযাব শুরু হয়েছে ১ লাখ টাকা ব্যাংকে যার আছে সে নাকি বড়লোক ! অথচ হলমার্কের তানভীর যে ৪০০০ কোটি টাকা মারলো সেটা কিছুই না ।
এসব টাকা গরীবের টাকা ছিল । গরীবের উপর ভালই ফাঁপড়বাজি চালায় আর শেয়ার বাজার কেলেংকারীর হোতাদের নাম নাকি প্রকাশ করলে সমস্যা হয়ে যাবে ?
কথা হল - সরকারের চেয়ে বড়গুন্ডা আর কে হতে পারে ? সরকার কি এদের ডরায়?
মন্তব্য করতে লগইন করুন