২০১৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়বে আড়াইগুণ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৩ জুলাই, ২০১৭, ০৪:৪৬:১৪ বিকাল
চলতি বা আগামী বছরে সরকারি প্রকল্পগুলোয় প্রতিশ্রুত ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হলে ২০১৮ সাল নাগাদ দেশে ব্যান্ডউইথ (ইন্টারনেট) ব্যবহারের সক্ষমতা বেড়ে হবে আড়াইগুণ। পরিমাণের দিক থেকে যা ছাড়িয়ে যাবে ১ টেরাবাইট। গত কয়েক বছরে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার যে হারে বাড়ছে, তাতে আগামী বছর ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ১ টেরাবাইটে পৌঁছানো মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। ‘বর্তমানে ৪০০ জিবিপিএস প্লাস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে আমাদের যে হার, তাতে আগামী বছর প্রায় ১ টেরাবাইটে পৌঁছাবে দেশ। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ১৬০ ও বেসরকারি পর্যায়ে ২৬০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে ৬টি আইটিসি ও দেশের দু’টি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্তত ৭-৮টি সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০০৬ সালে সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪-এ যুক্ত হয়। শুরুতে বাংলাদেশ ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা লাভ করে। পরে কারিগরি উন্নয়ন ঘটিয়ে ল্যান্ডিং স্টেশনে আরও ১০০ জিবিপিএস যুক্ত করা হয়। সম্প্রতি দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৫-এ যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে বাংলাদেশ পাবে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। শিগগিরই ১০০ জিবিবিএস সক্ষমতা যুক্ত করে যাত্রা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে দেশের ৬টি আইটিসি হলো সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড, ফাইবার অ্যাট হোম, নভোকম লিমিটেড, ওয়ান এশিয়া, বিডি লিংক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড। আইটিসিগুলো ভারত থেকে বর্তমানে ২৬০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ দেশে ব্যবহার হচ্ছে। সরকার বর্তমানে কয়েকটি প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো চালু হলে সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়বে। আগামীতে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছবে ইউনিয়ন পর্যায়ে। সারাদেশে ১ লাখ কানেক্টিভিটি তৈরির উদ্যোগও রয়েছে। এসব সম্পন্ন হলেই ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ১ টেরাবাইটে পৌঁছাবে।
বিষয়: বিবিধ
৫৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন