শেখ হাসিনা এবং আজকের বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৩ জুলাই, ২০১৭, ০৭:৫০:৪২ সন্ধ্যা
লাল-সবুজের এ দেশটি তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির পথে। অশিক্ষা, দারিদ্র্য, কুসংস্কার, অজ্ঞতা, সম্পদের সীমাবদ্ধতা, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সমৃদ্ধি বাড়ছে। দেশপ্রধানের দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের সারিতে। দেশের মানুষ এখন ক্ষুধা নিয়ে চিন্তিত নয়। মঙ্গা, খরা প্রভৃতি দুর্ভোগের শব্দ এখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত। যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতা হিসেবেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জয়গাথা, সাফল্যের গল্পও এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। ভৌগোলিক আয়তনের ছোট্ট এই বাংলাদেশের তরতর করে এগিয়ে যাওয়াকে অবাক বিস্ময়ে দেখছে বিশ্ববাসী। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, কিন্তু প্রস্তুতির বাস্তবকাল দুই যুগেরও বেশি। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পর আমরা লাল-সবুজের বিজয় পতাকা পেয়েছি ঠিকই কিন্তু যুদ্ধের ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে, উন্নত দেশ গড়তে পর্যাপ্ত সময় পাইনি। পঁচাত্তরে আগস্টের কালরাত থমকে দেয় অগ্রসরমাণ বাংলাদেশকে। সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ ধকল পোহাতে হয় বাংলাদেশকে। এখন বাংলাদেশ সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠে এসেছে উন্নত দেশের কাতারে। আর এই সফলতার অন্যতম নায়ক বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশকে নিয়ে যারা এক সময় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত, তারাই এখন দেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত। মনে দ্বেষ, বিভেদ রেখে হলেও মুখে স্বীকৃতি দিতেও বাধ্য তারা, বাংলাদেশ দারিদ্র্যতার শেকল বিচ্ছিন্নের পর এখন মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত। কাজ চলছে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার। সফলতার সব গল্পের নির্মাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আন্তর্জাতিক নানা মহল থেকে তিনি তার বিচক্ষণ নেতৃত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন। সর্বশেষ আরেকটি স্বীকৃতি বাংলাদেশের সফলতার গল্পই যেন তুলে ধরল বিশ্বব্যাপী। দূরদর্শী সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে সব কার্যক্রম। বাধা-বিপত্তি, ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে সব প্রতিকুলতা কাটিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে অবিচল নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে যে কোনো প্রতিক‚লতা ও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে তিনি অনড়। সে জন্যই সম্ভব হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো একটি বিশাল পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন। অন্য সবার কাছে যা অসম্ভব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা অনায়াসসাধ্য- এটাই শেখ হাসিনা নামের মানবীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্বের উজ্জ্বলতম দিক।সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে ফিরে আসা প্রধানমন্ত্রীর সব ভাবনা দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন নিয়ে। দেশের শান্তিকামী মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তিসাধন এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বেড়াজাল ছিন্ন করে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু কন্যার অবিরাম প্রচেষ্টা। পিতার আদর্শকে পাথেয় করে কাজ করছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধসমৃদ্ধ একটি সমন্বিত কার্যকর ও সুসংহত পররাষ্ট্রনীতি এবং কুটনৈতিক কুশলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বাঙ্গনে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি অর্জন করেছে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গরিব-দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে মনোযোগী হন। তার নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অশান্ত ওই অঞ্চল তথা সমগ্র দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে তারই উদ্যোগে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায়। উন্নয়ন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিনির্মাণ, যোগাযোগ ও যাতায়াতের অবকাঠামো নির্মাণে সাফল্য, হতদরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন, কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যসহ গণতন্ত্রের উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য তিনি পরিচিতি পান ‘ডটার অব ডেমোক্রেসি’ হিসেবে। এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এসডিজি অর্জনেও বাংলাদেশ শীর্ষে থাকবে। ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ পরিণত হবে পূর্ণাঙ্গ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে। প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জন মানে বাংলাদেশের গৌরব। বিশ্ব মাঝে আবারো লাল-সবুজের পতাকার বিজয় ধ্বনির অনুরণন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই বাংলাদেশ শিগগিরই উন্নত বিশ্বের তালিকায় স্থান করে নেবে- সে কেবল সময়েরই অপেক্ষা।
বিষয়: বিবিধ
৬৮৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন