প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ এবার টাঙ্গাইল শাড়িতে

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৭ জুন, ২০১৭, ০৬:১৮:২২ সন্ধ্যা



নদী-কলসি কাঁধে নদীর ঘাট থেকে পানি নিয়ে ফিরছেন এক গৃহবধূ। পাশের নদীতে নৌকা দিয়ে বাড়ির পথে ফিরছেন মাঝিরা। খোলা মাঠে কৃষিকাজ ফেলে গাছের নীচে বসে বিশ্রাম আর বাঁশি বাজাচ্ছে কৃষক। মাঠ থেকে গরু চরিয়ে বাড়ি ফিরছে রাখাল বালক। এটি কোন সিনেমা বা চিত্রকর্মের দৃশ্য নয়, এটি ৬৮ হাজার গ্রামের কৃষি নির্ভর পরিবারগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি করা বাঙালী নারীর ঐহিত্যবাহী পোশাক শাড়ির চিত্র। এমনি একটি শাড়ি তৈরি করেছেন টাঙ্গাইল জেলা দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল গ্রামের তাঁত পল্লীর শাড়ি ব্যবসায়ী ও ডিজাইনার রঘুনাথ বসাক। তার ডিজাইনে দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস সময় নিয়ে শাড়িটি বুনেছেন পাথরাইল উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের তাঁতি মো. হুমায়ুন মিয়া। সাড়ে ১২ হাত দীর্ঘ র’ সিল্ক শাড়িটি তৈরিতে তার সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে ৪ মাস। প্রতিদিন শাড়িটির পিছনে শ্রম দেওয়া হয়েছে গড়ে ৮ ঘণ্টা। শাড়িটিতে ১০-১৫ টি রংয়ের সিল্ক সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। শাড়িটির প্রধান সুতা ছিলো টানা সুতা। তা ছাড়া ৪০/২ রেমন সুতাও ব্যবহার করা হয়েছে শাড়িটিতে। এবারের ঈদে অনেক নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে এই শাড়িটি অন্যতম একটি। শাড়ি তৈরিতে নতুনত্ব তাঁত শিল্পীদের সব সময়ই সাড়া দেয়। প্রতিবছর ঈদ-পূজো’র উৎসবগুলোতে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি যেমন নতুনত্ব দিয়ে থাকে, তেমন নতুনত্ব অন্য কোন শাড়ি দিতে পারে না। এছাড়া শাড়ি তৈরির সময় মানুষের আগ্রহ কোন দিকে, মানুষ কোনটা বেশি পছন্দ করে ও ব্যবহার করে বেশি আনন্দ পায়, এই বিষয়ে চিন্তা করেই নতুন শাড়ি তৈরীর সময় শাড়ির রূপ দেওয়া হয়। এই শাড়িটি শুধুমাত্র বিক্রির উদ্দেশে তৈরি করা হয়নি, এতে তাঁত শিল্পীর শিল্পকর্মগুলো মানুষের মধ্যে বহিঃপ্রকাশ ঘটুক, মানুষ শাড়ি পড়ার পাশাপাশি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে আরও উৎসাহ পাক, এই কারণেই এমন শাড়ি তৈরি করেছে এই তাঁতশিল্পী। শাড়িটি তৈরিতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার কাছা-কাছি খরচ হয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

৮৪১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383452
২৭ জুন ২০১৭ রাত ০৮:৪৫
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :
ভালো লাগলো , ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File