মানুষের প্রতি মমত্ববোধই তাকে সাহসী করেছে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২০ জুন, ২০১৭, ০৪:১২:৪৩ বিকাল
বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা একজন মানবতাবাদী রাষ্ট্র নেতা। মানুষের প্রতি মমত্ববোধকে তিনি তার দায়িত্ব মনে করেন বলেই রাষ্ট্রের গরিব-দুঃখী মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত সকল মানুষ তার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পেয়েছিল বলেই দেশে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, স্বাধীনতা ঘরে এসেছিল। আর বাংলাদেশ বর্তমান রাজনীতিতে একজন সাহসী মানবতাবাদী রাষ্ট্র নেতা শেখ হাসিনাকে পেয়েছে বলেই দেশ আজ মানে-সম্মানে-সম্পদে এক ঈর্ষণীয় উচ্চতায় উঠে এসেছে। পিতার আদর্শ এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধই তাকে পথ দেখিয়েছে। আর এই কারণে প্রধানমন্ত্রিত্ব তার কাছে বড় নয়, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যান ও নেতৃত্বই বড় কথা। মানবিক মূল্যবোধের কারণে তিনি যেমন দেশের গরিব অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সচেষ্ট একই সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি দৃঢ়, দূরদর্শী এবং আপোসহীন। বড় বড় রাষ্ট্র যখন জঙ্গীবাদ উৎপাটনে গলদঘর্ম, হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ জঙ্গীবাদের শেকড় উৎপাটন করতে পুরোপুরি সফল না হলেও আশ্চর্যজনকভাবে অনেকটাই দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তাদের একটার পর একটা আস্তানা ধ্বংস করে চলেছে। এ কথা আজ বিশ্ববাসী সকলেই স্বীকার করছে। বরং বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বাংলাদেশেকে উদাহরণ হিসাবে নিচ্ছে। শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতিকেবল দমন নয়, ওদের ভিতশুদ্ধ কাঁপিয়ে দিয়েছে। মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকেই তিনি সাহসী হয়েছেন। তার জীবননাশের জন্য ২০ বার হামলা, গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর অশেষ কৃপায় তিনি বেঁচে আছেন, রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন অকুতোভয়ে। কখনও কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছে। তিনি বিচলিত হননি বরং সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে চলেছেন। ১৯৯৭ ও ৯৮ সালের বন্যা, বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়ার বিএনপি-জামাত সরকারের রেখে যাওয়া খাদ্য ঘাটতি, বিদ্যুত ঘাটতি, বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতু নির্মাণে হাওয়ার ওপর দুর্নীতি আবিষ্কারের চক্রান্ত এবং অর্থায়ন বন্ধ করা এবং সাম্প্রতিকালে হাওড়ে অতি বর্ষণজনিত বন্যায় ধান-মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং তা কাটতে না কাটতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দেড় শতাধিক নাগরিকদের জীবনহানি। এ সবকে অতীতে যেমন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন, এখনো করছেন এবং আমাদের বিশ্বাস এ সঙ্কট উত্তরণেও সফল হবেন। কারণ তিনি তো এক মানবতাবাদী রাষ্ট্র নেতা। আমাদের জাতির পিতা দুটি লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন। একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আরেকটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেন নাই। তবে সেই কাজটি অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে শেখ হাসিনা করে চলেছেন। তার ধমনীতে বইছে জাতির পিতার রক্ত, যে রক্ত অন্যায় জানে না আপোষকামীতা জানে না, জনগণের প্রশ্নে থাকেণ অবিচল। কাজেই সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
বিষয়: বিবিধ
৬৭৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অন্য কিছু দিব বুঝতে পারছিনা ভাইয়া।।।।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন