রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই গুপ্তহত্যা আর জঙ্গিবাদিতা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৪ জুন, ২০১৭, ১০:৩৬:০১ রাত
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সারা বিশ্ব যখন অস্থিতিশীল ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে উন্নত বিশ্বের অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। আলোর বিপরীতে যেমন অন্ধকার, তেমনি সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য অনেকের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে একটি মহল রাজনৈতিক হিংসার বশবর্তী হয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য গুপ্তহত্যা আর জঙ্গিবাদিতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করা, সরকারকে হেয় করা। বঙ্গবন্ধু কন্যা এসব সমস্যা ঠিকই সামলে নিবেন। কারণ, অসাম্প্রদায়িকতা মিশে আছে আমাদের রক্তে, অস্থিমজ্জায়। এ বাংলা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সবার। তাই তো মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়ে একটি চমৎকার সংবিধান দেশবাসীকে উপহার দিয়েছিলেন। জঙ্গিবাদের কথা যদি বলা হয় তাহলে মনে পড়ে যায় ২০০১-০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের কথা। বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, আতাউল হক সানি, মুফতি হান্নানরা যেভাবে সমগ্র বাংলাদেশে বোমাবাজি করেছে, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে এমন দুঃসময় বাংলার ইতিহাসে আর একবারও আসেনি। বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন ছিল বলেই তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার আক্রমণ চালানো হয়েছে। সে সব কথা মানুষ ভুলে যায়নি। ঐ অপশক্তি প্রতিনিয়ত আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতেই ব্যস্ত থাকে। বাংলাদেশে যখনই কোন হত্যাকাণ্ড ঘটে তখনই পশ্চিমা বিশ্ব দাবি করে এগুলো ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর দায় স্বীকার করেছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা নিশ্চিত কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতির দাবি করা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। যে দেশে জামায়াতে ইসলামীর মত যুদ্ধাপরাধী সংগঠন রয়েছে সেখানে আবার নতুন করে আইএস-এর দরকার আছে কি? সন্দেহাতীতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডারগুলো বিভিন্ন নাম নিয়ে সারাদেশে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। সাম্প্রতিককালের কয়েকজন হামলা ও হত্যাকারীই এর বড় প্রমাণ। মূলত সরকারকে বিব্রত করতে ঠাণ্ডা মাথায় সাধারণ নিরীহ মানুষ হত্যায় মেতেছে বিএনপির ইন্ধনে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা যে দেশের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় সেটার কুফল সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে, গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যতই আত্মগোপনে থাকুক না কেন জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে তারা কোণঠাসা হয়ে ধরা পড়তে বাধ্য। সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই জঙ্গিবাদ রুখে দেয়া সম্ভব হবে, সম্ভব হবে গুপ্তহত্যা বন্ধ করা।
বিষয়: বিবিধ
৫৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন