২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ দেবে সরকার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ জুন, ২০১৭, ০৩:৪৬:৪০ দুপুর
মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষি ও পল্লী অর্থনীতি খাতের অবদান প্রায় এক পঞ্চমাংশ। আর শ্রমজীবী কর্মশক্তির প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানে এ খাতের অবদান ৪৫ শতাংশের মতো। রপ্তানিতেও কৃষিখাতের ভূমিকা বাড়ছে। এ খাতকে উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়। সরকার এ খাতকে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। আসছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ১৯ হাজার ৫৫৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ বাড়ছে। অন্যদিকে গত এপ্রিল পর্যন্ত দশ মাসেই কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ বিতরণ হয়ে গেছে। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ দশমিক ২৬ শতাংশ বিতরণ হয়েছে। আর বাকি দুই মাসে আরো তিন হাজার কোটি টাকা বিতরণ করবে। চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার শস্য ও ফসল চাষের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ছাড়াই একজন কৃষক সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে পেরেছেন। আগে এ সীমা ছিল দেড় লাখ টাকা। এবার এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায়ও ব্যাংকগুলো কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে এজেন্টদের কমিশন বা সার্ভিস চার্জ হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্ধারিত সুদের অতিরিক্ত দশমিক ৫০ শতাংশ আদায় করা সুযোগ রাখা হয়েছে। আম ও লিচুর পাশাপাশি পেয়ারা উৎপাদনেও সারা বছর ঋণ দেওয়া যাবে। এছাড়া গত জুলাই থেকে কৃষি ও পল্লী ঋণের নির্ধারিত সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করবেন। এ বাজেটেই আগামী অর্থবছরে কত টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ হবে তার ঘোষনাও আসবে। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণের তথ্য সরবরাহ করে থাকে। পরে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়ার পরে লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করে। ২০১৮-১৯ সালের জন্য ২১ হাজার ৪৪৫ কোটি এবং ২০১৯-২০ সালের জন্য ২৩ হাজার ১৬০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণে বিতরণ করার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বিষয়: বিবিধ
৫৯৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন