বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ৪শ’ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৫ মে, ২০১৭, ০৩:৪৫:৩২ দুপুর
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি)। এর আওতায় ওই অঞ্চলের প্রথম ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পিজিসিবির তত্ত্বাবধানে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন টার্নকি পদ্ধতিতে এ কাজ সম্পন্ন করবে। পায়রা বন্দর থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। সঞ্চালন লাইনের প্রতি ফেজে চারটি করে অত্যাধুনিক ‘এসিসিসি ক্লাক্টর’ (তার) থাকবে। এর ফলে অন্যান্য ৪০০ কেভি লাইনের তুলনায় এ লাইনের সঞ্চালন সক্ষমতা কয়েক গুণ বেশি হবে। আগামী দু’বছরের মধ্যে সঞ্চালন লাইনটি নির্মাণের কাজ শেষ হবে। পিজিসিবি গৃহীত ‘পটুয়াখালী (পায়রা)-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় লাইনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সঞ্চালন লাইনটি সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য বড় সুখবর। কারণ ওই এলাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এই সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে সারা দেশে পৌঁছানো হবে। পটুয়াখালীর পায়রা, বাগেরহাটের রামপাল ও পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গোপালগঞ্জ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালন করা হবে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পটুয়াখালী-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করছে পিজিসিবি। পর্যায়ক্রমে এ সঞ্চালন লাইন আরও কয়েকটি জেলায় সম্প্রসারিত হবে। পটুয়াখালী (পায়রা)-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে প্রথম দফায় পায়রায় নির্মিতব্য ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ওই এলাকায় আরও যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে তার উৎপাদিত বিদ্যুৎ এই সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। নির্মাণাধীন পায়রা বন্দর পুরো দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে এ অঞ্চলের জনগণের জীবনমান আরও উন্নত হবে। তাদের মাথাপিছু আয়ও বাড়বে। ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনে তারা আশার আলো দেখছেন। এর ফলে যেসব গ্রাম এখনও বিদ্যুৎহীন সেখানে বিদ্যুৎ যাবে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের যেসব অঞ্চল এখনও অন্ধকারে রয়েছে সেসব এলাকা আলোকিত হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবাদে এখানে নতুন নতুন শিল্পকারখানা নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ফলে স্থানীয় লোকজনের ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। বিশেষ করে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা দুর্যোগের সময় আগের মতো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। বড় বড় শিল্পকারখানা গড়ে উঠলে তারা আরও নিরাপদে থাকতে পারবেন।
বিষয়: বিবিধ
৭২৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গতকালই মমতা মোদির কাছে বাংলাদেশকে আরও বেশী পানিতে মারার ফন্দি নিয়ে গেছেন এবং বাংলাদেশকে নাকি কিছু কিছু নদী দুষণের জন্য দোষারোপও করেছেন।
আমরা যতই কলিকাতার দাদাদিদিদের নিয়ে তপস্যা করি না কেন উনারা কিন্তু আমাদেরকে জীবন্মৃত করার ব্যবস্থাই করে যাচ্ছেন ওপেনলি।
সমস্যা আসলে আমাদের মধ্যে । একটা দেশের সামান্য একটা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর জেদের কাছেও আমাদের নত হতে হয় ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন