তথ্যপ্রযুক্তির সব ক্ষেত্রেই বিপ্লব চলছে দেশে

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৯ মে, ২০১৭, ০৩:০৩:৫৮ দুপুর





বাংলাদেশেই তৈরি হতে যাচ্ছে বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ। দেশে নির্মিত সফটওয়্যার দিয়েই চলবে দেশের ব্যাংক, বীমা, কলকারখানা, অফিস-আদালত। সবকিছুর দ্বার খুলতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রযুক্তি পণ্যের শিল্পাঞ্চল হাইটেক পার্ক। ইতিমধ্যে কালিয়াকৈরে ২৩২ একর জমিতে প্রথম হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এর বাইরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খরিতাজুড়ি বিলে দেশের দ্বিতীয় হাইটেক পার্ক স্থাপনের জন্য ১৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টওয়ার, যশোর, রাজশাহীসহ দেশের সাতটি বিভাগে ১২ জেলায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। হাইটেক পার্কগুলো সচল হলেই আইসিটি সেক্টর জাতীয় রাজস্ব আয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে আশা করছে সরকার। এক দশকের মধ্যে আইসিটি হবে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের খাত। ইতিমধ্যে হাইটেক পার্কের উন্নয়নে এবং বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অন্যদিকে জাপানও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ দেশের বিভিন্ন হাইটেক পার্কসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করতে চায় জাপান। এ ছাড়া হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিনিয়োগে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চায়না বেটার বিজনেস ব্যুরো (চায়না বিবিবি)। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অভাবনীয় অগ্রযাত্রা এখন বিশ্ব স্বীকৃত। বিশ্বের শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগ করছে। বর্তমানে টেলিকম বাদেই বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বাজার প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ এ খাতের রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশের সম্ভাবনাময় আরেক খাত হলো ই-কমার্স। এ খাতে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে। ই-লেনদেনে প্রতিমাসে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। প্রায় ১৩ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী ও প্রায় ছয় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এই দেশে ই-বাণিজ্য জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। অংশগ্রহণ থাকছে আউটসোর্সিং খাতেও। বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংয়ের (বিপিও) বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে বাংলাদেশি তরুণ আইটি পেশাদারদের অংশগ্রহণ দিন দিনই বাড়ছে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল গেইমিং, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে শুরু করে আইটি সেক্টর, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং—সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। এখন দেশেই স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ প্রভৃতি প্রযুক্তি উৎপাদন করাতে চায় সরকার। ভবিষ্যতে তা রপ্তানিও করতে চায় বাংলাদেশ। প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি ল্যাপটপ ও তিন কোটির বেশি মোবাইল ফোন আমদানি হচ্ছে। বিরাট এ বাজারকে টার্গেট করে এরই মধ্যে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ শ্রীলঙ্কান এক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ওই কোম্পানি এ দেশে তাদের কারখানা স্থাপন করে ল্যাপটপ, ট্যাব ও স্মার্টফোন তৈরি করবে। স্বল্পমূল্যে সেসব পণ্য দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যান্য দেশে রপ্তানিরও পরিকল্পনা রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সব ক্ষেত্রেই দেশে রীতিমতো বিপ্লব চলছে।



বিষয়: বিবিধ

৮৯১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383039
১৯ মে ২০১৭ দুপুর ০৩:৩৩
হতভাগা লিখেছেন : বিডি টুডেতে এখন লগইন করা দূরুহ হয়ে গেছে । ম্যাক্সিমাম ব্লগারই ঢুকতে পারছেন না । সরকারের এত সাফাই গাচ্ছে বিডিটুডের হয়ে , দেখেন না ব্লগে ঢোকাটা সহজ করাতে পারেন কি না ।
383048
১৯ মে ২০১৭ রাত ০৯:২৫
আকবার১ লিখেছেন :
383054
২০ মে ২০১৭ রাত ০২:৪০
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ পিলাচ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File