অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৪ মে, ২০১৭, ০৭:২১:২৪ সন্ধ্যা

দেশে বর্তমানে বিপুল সংখ্যক দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে। বিদেশে আমরা সাধারণত অদক্ষ শ্রমিক রপ্তানির মাধ্যমে যে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে আসছি তার পরিবর্তে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং সেই জনশক্তি রপ্তানি করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণ অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। এ যুগে জনশক্তিই আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ। তবে সে জনশক্তিকে দক্ষ শ্রমশক্তিতে রূপান্তরিত করতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রেই তা হতে সর্বোচ্চ ফল লাভ সম্ভব নয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ কাজ করছে। আর তাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার ক্ষেত্রে সর্বাধিক সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। দক্ষ শ্রমিকদের যেহেতু চাহিদাই আলাদা এবং তাদের মজুরির হারও বেশি সেহেতু দেশের রপ্তানিযোগ্য দক্ষ জনশক্তি বা সম্পদ গড়ে তোলাটা একান্তই অপরিহার্য। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি বেসরকারি পর্যায়েও উদ্যোগ প্রয়োজন! আর এ কারণেই সরকারি পর্যায়ে ৭০টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেশকিছু বেসরকারি শিক্ষা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানও দক্ষ জনশক্তি গড়ার কাজে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বিদেশে কর্মরতরা বছরে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করছেন। দক্ষ জনশক্তি যত বেশি গড়ে তোলা যাবে এই আয় তত বৃদ্ধি পাবে আর দেশের অর্থনীতির চাকা অধিক বেগে ঘুরতে পারবে। আমাদের জনসম্পদ বিশ্বের অনেকের ঈর্ষারও কারণ। পশ্চিম ইউরোপ, জাপান প্রভৃতি দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যার হার দ্রুত হ্রাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞের কল্যাণে আমাদের জনসম্পদের জন্য বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হচ্ছে। বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বর্তমানে সর্বাধিক। এই সংখ্যা একশত কোটিরও উপরে, তার মধ্যে বাংলাদেশ কর্মক্ষম যুব শক্তির এক বিপুল ভাণ্ডার। সুতরাং, এই জনশক্তিকে অধিক দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করার জন্য উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশকে দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে এটা যে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে তা তো বলাই বাহুল্য।

বিষয়: বিবিধ

৭১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File