দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্বিগুণ হচ্ছে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১০ মে, ২০১৭, ০৪:১৪:৪৪ বিকাল
দেশে ২০১৮ সালের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্বিগুণ হবে। এতে ব্যান্ডউইথ (ইন্টারনেট একক) ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়বে আড়াইগুণ। পরিমাণের দিক থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার হবে এক টেরাবাইট। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হওয়ায় দেশে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে এই কেবলের মাধ্যমে আরও ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪শ’ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪শ’ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস বিএসসিসিএলের প্রথম সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আসছে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আইটিসির মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে কুয়াকাটা-ঢাকা ব্যাকহোল লিংক স্থাপন হয়েছে। তবে ব্যাকহোল লিংক স্থাপনের কাজ নানা প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাকহোলের কেবল মাটির নিচ দিয়ে না নিয়ে অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে আনা হয়েছে। এতে ওই কেবল মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরপরও বিএসসিসিএল ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ টেস্টিং কাজ শেষ করেছে। পুরোপুরিভাবে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের কাজ শেষ হলে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় ১০ একর জমিতে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনসহ নানা অবকাঠামো তৈরি করেছে। এখান থেকে সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে। ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ঢাকার মগবাজার টেলিফোন ভবন পর্যন্ত কেবল স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে। যত দ্রুত সম্ভব দেশের মানুষকে বাড়তি ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য কেবল স্থাপনের কাজ শেষ করা হবে। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় দেশে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। একটি কেবল কোন কারণে বিকল হলে অন্য কেবলটি ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে। দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা থাকবে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজকর্মে গতি বাড়বে। দেশে বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে । দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল দেশের মানুষের কাছে একটি বড় সুখবর। এই কেবল দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগের একটি সাবমেরিন কেবলে থাকায় কোন কারণে কাটা পড়লে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন ঘটত। তখন ভারত থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হতো। দ্বিতীয় সাবমেরিনে যুক্ত হওয়ার ফলে এখন একটা ব্যাকআপ তৈরি হলো। প্রতিটি সাবমেরিন কেবলের লাইফ টাইম ১০ থেকে ১৫ বছর। এখনই উচিত তৃতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনের চিন্তা করা। ভারত অন্তত ২০ সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশেরও প্রয়োজন অধিক সংখ্যক সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা।
বিষয়: বিবিধ
৬৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন