রিং বাণিজ্যের দিন শেষ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২১ এপ্রিল, ২০১৭, ০৪:৩৮:৩৯ বিকাল
দীর্ঘদিন ধরে এদেশে হৃদরোগীদের অন্যতম কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হার্টের রিং নিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র। রিংয়ের দাম ও রিং বসানো নিয়ে দেশে বহু মুখরোচক ঘটনা ঘটেছে। রোগীদের কাছ থেকে উচ্চমূল্য নিয়ে নিম্নমানের রিং বসানোর অনেক ঘটনাও বেশ আলোচিত হয়েছে। আবার দুই থেকে তিনটি রং বসানোর কথা বলে ১টি রিং বসিয়ে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের কাহিনীও বিভিন্ন সময় খবরের কাগজে এসেছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিফতর সম্প্রতি হার্টের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণ ও মোড়কে নির্ধারিত মূল্য লিখে রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। আর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের মতো করে গড়ে তোলা একচেটিয়া ব্যবসায় সরকারি সিদ্ধান্ত আঘাত হানায় হাসপাতালগুলোতে রিং সরবরাহে গড়িমসি করছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কার্ডিয়াক বা হার্টের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় করোনারি স্টেন্ট বা রিংয়ের মূল্য নন মেডিকেটেড স্টেন্টের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে মেডিকেটেড স্টেন্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে জাতীয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। উল্লেখ্য, ভারতে স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন একটি স্টেন্টের মূল্য ৭ হাজার ২ রুপী, যা বাংলাদেশী অর্থে ৮ হাজার ৯০০ টাকা হয়। তবে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পুরোটাই আমদানিনির্ভর। বর্তমানে দেশের কয়েকটি হাসপাতালে কিছু অসাধু চিকিৎসকের কমিশন বাণিজ্যের কারণে ১৮ হাজার টাকার হার্টের রিং দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে রিংয়ের মূল দামের চেয়ে ৮ থেকে ১৭ গুণ বেশি দিতে হচ্ছে গ্রাহককে। তবে বর্তমান সরকার জনস্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের প্রত্যক্ষ তদারকি ও নজরদারিতে আগামীতে এদেশে হার্টের রিং নিয়ে আর কাউকে বাণিজ্য করতে দেয়া হবে না। অচিরেই ১৭ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি রিংয়ের মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। সবাইকে ঐ মূল্যেই রিং বিক্রি করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৫৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন