হ্যালো ১৬১০৪

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ০৩:৫৭:৫৯ দুপুর

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকার কোনো সড়কে নষ্ট থাকায় অনেকদিন ধরে সড়কবাতি না জ্বলা, সড়কবাতি সংস্কারের দায়িত্বে থাকা লোকজন না আসা, এলাকার সড়কের বেহাল অবস্থা থাকা, বাসার আশপাশে দিনের পর দিন আবর্জনার স্তূপ জমে থাকা- এ জাতীয় অভিযোগ থাকলে কখন কোথায় জানাবে এতোদিন অনেক নগরবাসীরই তা ছিলো অজানা। তবে চসিক এবার এ ধরনের নাগরিক দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে চালু করতে যাচ্ছে 'হ্যালো ১৬১০৪' সেবা। মুঠোফোন থেকে এক ডায়ালেই জানানো যাবে এলাকার সমস্যা-অভিযোগ। অন্য প্রান্ত থেকে জানিয়ে দেয়া হবে সমস্যার সমাধান। এ জন্য চালু হচ্ছে ‘কল সেন্টার’। সব প্রস্তুতি শেষ। এখন অপেক্ষা কেবল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের। উদ্বোধনের পর দিনরাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে এটি। যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে করা যাবে কল। নেয়া হবে স্বাভাবিক 'কলচার্জ'। কল সেন্টারের নম্বরটিতে কল করে শুধু রাস্তাঘাট, ময়লা-আবর্জনা বা সড়কবাতিজনিত সমস্যার সমাধান মিলবে তা নয়, চসিকের প্রদত্ত সব নাগরিক সেবাও দ্রুত পাওয়া যাবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই এ কল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে নগরবাসী ১৬১০৪ হান্টিং নম্বরে (শর্ট কোড) কল করেই চসিকের যে কোনো ধরনের তথ্য পাবে। কল সেন্টারের হান্টিং নম্বরটিতে কল করে পাওয়া যাবে নগরবাসীর হোল্ডিং ট্যাক্স সমস্যা, এ নিয়ে কর আদায় কর্মকর্তা বা কর্মচারীর যদি কোনো অনিয়ম থাকে, প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন অসুস্থ রোগীর পরিবহন বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা, জন্ম-মৃত্যু সনদ, বয়স সনদ, ইপিআই কার্যক্রম নিয়ে তথ্য, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন কর, হোল্ডিং নম্বর প্রদান, পরিবর্তন ও পৃথককরণ, দোকান বরাদ্দ, হাট-বাজার ইজারা, বার্ষিক অনুদান, রাস্তা কাটার অনুমতি, সড়কবাতি রক্ষণাবেক্ষণ, রোড রোলার ভাড়া, হোটেল-রেস্তোরাঁয় পচা-বাসি খাবার রোধ, আবর্জনা অপসারণ, মশক নিধন, জাতীয়তা সনদ, চারিত্রিক সনদ, অবিবাহিত সনদ, বেকারত্ব সনদ, আয়ের সনদ ও পারিবারিক আদালত থেকে তালাক সংক্রান্ত নানা তথ্যও মিলবে এ কল সেন্টার থেকে। 'হ্যালো ওয়ার্ল্ড' নামে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান এই কল সেন্টার স্থাপনে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে। গত বছরের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চসিকের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী 'হ্যালো ওয়ার্ল্ড' ইতিমধ্যে কারিগরি কাজগুলো সম্পন্ন করেছে। চালু হলে এই সেবা এদেশে নাগরিক পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কর্মসূচীতে অনুপ্রাণিত হয়েই এই সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে চসিক। চসিকের দেখানো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আগামীতে এদেশের নাগরিক পরিষেবা কাঠামো উন্নত দেশগুলির সমপর্যায়ে উন্নীত হবে – এটাই সকলের প্রত্যাশা।

বিষয়: বিবিধ

৭৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File