বর্তমান সরকারের পথ চলা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ০৪:০১:১৮ বিকাল
বর্তমান সরকার একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেশের জন্য, মানুষের জন্য সাফল্য নিয়ে আসছেন। হাজারও বাধার বিন্দাচল টপাটপ টপকে একের পর এক জিতে চলেছেন শত্রুর দেয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ। দেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। দেশের মানুষের বুকে ভরে দিয়েছেন স্বস্তি, মাথায় পরিয়েছেন বিজয়ের মুকুট। প্রজ্ঞা, মেধা, দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা আর সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে সরকার একের পর এক সৃষ্টি করে চলেছেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। সব কাজের কাজী হয়ে, বলতে গেলে একক নৈপুণ্যে যেখানেই স্পর্শ রাখছেন সেখানেই ফলাচ্ছেন স্বর্ণবৃক্ষ। অতীতের সকল দায় পূরণ করে দেশ ও দেশবাসীর জন্য খুলে দিচ্ছেন উজ্জ্বল আলোর ভবিষ্যতের দুয়ার। যে দুয়ার দিয়ে অহরহ আসছে আলোর ঝর্ণাধারা, যার পরশে আমরা নিয়ত শুদ্ধচিত্ত হচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে গত ক’মাস কত কথা, কত আলোচনা, কত বাকবাকুম। চোখ-কান খোলা রেখে গণমাধ্যমের প্রায় সব কথাই শোনা এবং দেখার চেষ্টা। বেশি চেষ্টা করেছি যারা উঠতে বসতে বর্তমান সরকারের কাজকে বুঝে-না বুঝে বিরোধিতা করেন, যারা সব কর্মোদ্যোগের ভেতর ‘কিন্তু’ খোঁজেন তাদের লেখা পড়তে এবং কথা শুনতে। চার দশকের বেশি সময় আগে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির সময় যা বলতেন এখনও তাই বলছেন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মানেই দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া এই হচ্ছে তাদের ভাঙ্গা রেকর্ডের বেসুরো বয়ান। শুনতে শুনতে কান পচে গেছে। কান এখন নতুন কিছু শুনতে চায় যাতে যুক্তি আছে। আছে বিশ্বাসযোগ্যতা। তাছাড়া বর্তমানকালে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া যেমন সম্ভব নয়, ছিনিয়ে নেয়াও অবান্তর চিন্তা। এটা সাধারণ লোকমাত্রই বোঝে। প্রতিদিন পার্টি অফিসে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে লিখিত-অলিখিত অন্তঃসারশূন্য কথার ফুলঝুরি ছুটিয়ে আজকাল বিশেষ লাভ হয় বলে মনে হয় না। বরং সেই পুরনো প্রচলিত প্রবাদটাই মনে পড়ে, যে কহে বিস্তর কথা সে কহে বিস্তর মিছা। সবশেষে বলা চলে প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারতের সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক উঠেছে এক ঐতিহাসিক উচ্চতায়। সরকার ও বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির অনন্য সাফল্যের যে মাইলফলক এবারের সফরে তৈরি হলো সেখান থেকেই শুরু হোক নতুন পথের শুভযাত্রা।
বিষয়: বিবিধ
৭০৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদি বেটার এচিভমেন্টের জন্য করে থাকে তাহলে কলিকাতা কি বুঝে কম?
মন্তব্য করতে লগইন করুন