ডিজিটাল সেবায় যুক্ত হতে যাচ্ছে 4G

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৫ এপ্রিল, ২০১৭, ০৩:২৫:১০ দুপুর



দেশ ডিজিটাল খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে দেশে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালুর জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে দেশে ফোরজি প্রযুক্তি চালুর প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে গেল। একই সঙ্গে ফোরজি সেবা দিতে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা বা টেকনোলজি নিউট্রালিটি সুবিধার জন্য একটি প্রস্তাবিত দাম ঠিক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা হলো যেকোনো তরঙ্গে যেকোনো প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার সুবিধা। বাংলাদেশে মুঠোফোন অপারেটররা বর্তমানে দ্বিতীয় (টুজি) ও তৃতীয় (থ্রিজি) প্রজন্মের সেবার জন্য তিনটি আলাদা ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করে। এই তিনটি ব্যান্ড হলো ৯০০, ১ হাজার ৮০০ ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা পেলে এই তিনটি ব্যান্ডের তরঙ্গ দিয়েই টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি সেবা দিতে পারবে মুঠোফোন অপারেটররা। তবে এ জন্য মেগাহার্টজপ্রতি তরঙ্গের জন্য আলাদা দাম দিতে হবে অপারেটরদের। প্রযুক্তি নিরপেক্ষ প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের দাম ৫৬ কোটি থেকে ৬৪ কোটি টাকা হতে পারে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে। ফোরজির প্রস্তাবিত নীতিমালায় বর্তমান মুঠোফোন অপারেটররাই সেবাটি আগে চালু করার সুযোগ পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে। একই সঙ্গে তরঙ্গ কেনার শর্তে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের এ সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। ফোরজি চালুর জন্য সব মুঠোফোন অপারেটরই এখন নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ইতিমধ্যেই ফোরজি প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে। এসব পরীক্ষায় ডাউনলোড ও আপলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ৫০ থেকে ১০০ এমবিপিএস (মেগা বিটস প্রতি সেকেন্ড)। থ্রিজি প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ ৪০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড গতি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে সিটিসেলের মাধ্যমে প্রথম টুজি প্রযুক্তির মুঠোফোন সেবা চালু হয়। সিটিসেলের টুজি প্রযুক্তির নাম ছিল সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস)। ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনের মাধ্যমে টুজির আরেক প্রযুক্তি জিএসএম (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন) চালু হয়। এরপর ২০১২ সালে সরকারি মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটক থ্রিজি প্রযুক্তির সেবা চালু করে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল থ্রিজি চালু করে। বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশে ফোরজি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু আছে। ফোরজি প্রযুক্তি চালু হলে ডিজিটালের দিকে দেশ নিঃসন্দেহে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।



বিষয়: বিবিধ

৭৪০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382551
০৫ এপ্রিল ২০১৭ রাত ০৯:০৮
হতভাগা লিখেছেন : আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে , ফোর জি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলো স্বপ্নের একটি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File