গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত ঠেকিয়েছে বাংলাদেশ

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৪ এপ্রিল, ২০১৭, ০৭:৫৮:৪২ সন্ধ্যা

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গণতন্ত্র না থাকলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটে, আবার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সদস্য দেশগুলোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে—ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনের তৃতীয় দিন অংশগ্রহণমূলক বিতর্কে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এ আহ্বান জানান। আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, বিগত নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত প্রতিহত করেছে। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইপিইউয়ের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন বি তিশিরিলেস্তের সভাপতিত্বে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। এসব বিষয়ে আইপিইউয়ের সংসদগুলোকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে আইপিইউয়ের প্রেসিডেন্ট বলেন, গণতন্ত্র ও বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল—সব দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরো আলোচনা চলবে। বুধবার (আগামীকাল) মূল অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এরপর সেখানে আলোচনা শেষে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক বিতর্কে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছে বলে জানান বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কথা বলা হয়েছে। গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত প্রতিহত করায় বিশ্ববাসী বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। আলোচনায় পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে বিশ্ববাসীর সহানুভূতি কামনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত প্রতিহত করেছে। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় বিগত নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নির্বাচন নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জও ছিল, যা মোকাবেলা করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। ওই সফলতার কারণে আইপিইউ সম্মেলনের মতো এই বৃহৎ আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। সংসদে বিরোধীদলীয় এই সদস্য আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময়ই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক। আমরা ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়। দেশব্যাপী গণহত্যা চালানো হয়। যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীন হয়েছি। ’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র বিকাশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রয়োজন। আমরা সেটা নিশ্চিত করছি। দেশে ৩৬টি প্রাইভেট চ্যানেল স্বাধীনভাবে জনগণের মতামত তুলে ধরছে। চলমান সংসদীয় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে দেশে গণতন্ত্রের দ্রুত বিকাশ ঘটবে বলে আমরা আশাবাদী।

বিষয়: বিবিধ

৬৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File