নিজেদের মুদ্রা সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন একটা ধারণায় “টাকা জাদুঘর”
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ এপ্রিল, ২০১৭, ০৩:৪০:২৭ দুপুর
“অর্থ-ই সকল অনর্থের মূল” মীর মশাররফ হোসেনের এই তত্ত্বে যারা বিশ্বাসী তাদের টাকা জাদুঘরে না যাওয়াই ভালো। যারা টাকা-পয়সা ভালোবাসেন, অন্ততপক্ষে ‘পাতকী’ মনে করেন না, তারা ঘুরতে যেতেই পারেন। এটুকু বলতেই পারি- খারাপ লাগবে না। অধিবৃত্তি হিসেবে নিজেদের মুদ্রা সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন একটা ধারণা হয়ে যাবে। খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ শতাব্দী থেকে একদম হালনাগাদ মুদ্রার প্রদর্শন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মুদ্রার সমৃদ্ধ উপস্থাপনা। সোনা, রুপা, তামা, কড়ি থেকে কাগজী মুদ্রার বিশ্ব মানের প্রদর্শনী। বিস্ময়কর দক্ষতায় প্রাচীন ধাতব মুদ্রায় কারুকায ও লেটারিং মুগ্ধ করে। মোঘল আমলের মুদ্রার আধিক্য যেন একটু বেশিই। সাধারণত, স্মারক মুদ্রাগুলো সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন খবরের মাধ্যমে জানি। সরাসরি দেখার সুযোগ হয় না। স্বাধীনতা পরবর্তী সবগুলো স্মারক ১০ টাকার ধাতব মুদ্রা এখানে প্রদর্শিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ধাতব মুদ্রার মাস্টার মোল্ডও দেখার সুযোগ আছে। শুধু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ববর্তী নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী ৩টি দেশীয় টাকার নোটও এখানেই দেখতে পাবেন। দেশের মুদ্রার ইতিহাস ও বিবরণ জানার ডিজিটাল ব্যবস্থাও বেশ সমৃদ্ধ। স্যুভিনিয়র হিসেবে ৫০ টাকার বিনিময়ে নিজের ছবি ৫০,০০০ টাকার নোটের উপর ছাপিয়ে নেওয়ারও সুযোগ আছে। আর আছে প্রবেশ ও বহিঃপথে একটা ৫০০ টাকা মূল্যমানের বই আর কিছু গিফট আইটেম দিয়ে ছোট একটা স্যুভিনিয়র শপ। দারুণ দৃশ্যপট নিয়ে মুখোমুখি বসার জন্য পরিষ্কার-পরিছন্ন আর নিরিবিলি একটা ক্যাফও আছে। ঢুকার পথে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটাটি অসাধারণ। টাকার গাছের ভাস্কর্যটিও বেশ নান্দনিক।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন