মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ৩০ মার্চ, ২০১৭, ০৯:৩৪:১২ রাত
মানবাধিকার একটি সহজাত বিষয় যার মধ্য দিয়ে মানুষ জন্ম নেওয়ার সূত্রেই এটি দাবি করতে পারে। প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদাকে সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি তার স্বাধীনতা ও সমতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে তার জীবন গঠনের ক্ষমতা মানবাধিকারই নিশ্চিত করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মানবাধিকার শিক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু একটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী সে দেশের শহুরে শিক্ষিতের মতো মানবাধিকার বিষয়ে সচেষ্ট নয়। আর এ লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষা। মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রয়োজনীয়তা ও তাদের সমস্যার ভিত্তিতে বৈঠক, সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে নানা অধিকার ও আইন বিষয়ে বিশ্লেষণ প্রদান করা হয়। ক্ষমতা কাঠামোর পুনর্গঠন ও নিপীড়ন দূরীকরণে এ শিক্ষা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার শিক্ষা কার্যক্রম স্তর ও মাত্রা ভেদে বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে থাকে। থাইল্যান্ডের “গাবফাই” এক ধরনের থিয়েটার কার্যক্রম যার দ্বারা স্থানীয় জনগণ এবং দুর্বল ও নিপীড়িত গোষ্ঠীকে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করার প্রয়াস চালানো হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এ ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি বিষয়কে সহজভাবে বোঝা ও তার সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সমাধানের পথ আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মানবাধিকার শিক্ষায় আমাদের বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ মানবাধিকার নাট্য পরিষদ (এমএনপি) “অ্যাকশন থিয়েটার” পদ্ধতি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের প্রয়োজন ও সমস্যাগুলোকে তুলে ধরে। নাটকের মধ্য দিয়ে এগুলো সমাধানে স্থানীয়দের নানা পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে এমএনপি’র স্থানীয় দলগুলো কাজ করে। মানবাধিকার শিক্ষায় সচেতন হলে দেশের সকল অঞ্চলের জনগণ সামাজিক স্থিতিশীলতা আনয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। আর এই মানবাধিকার নিশ্চিত করাই এখন বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
বিষয়: বিবিধ
৮৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন