আপনার সন্তানরা কি অনলাইন জীবনে আসক্ত ?
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৫ মার্চ, ২০১৭, ০৬:৪৪:১০ সন্ধ্যা
আপনি একজন বাবা কিংবা মা। আপনার ছেলেমেয়েরা বড় হয়নি, তারা স্কুল কলেজে পড়ে। আপনার সন্তান কোনো একটা নেশায় আসক্ত হয়েছে জানতে পারলে আপনারা সেটা মেনে নিতে পারবেন কি?তাহলে আমরা কীভাবে সন্তানদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে বসে থাকতে দিই? যে বিষয়টি এতদিন একটা সন্দেহ বা আশংকা ছিল এখন সেই বিষয়টি গবেষণা জার্নালে বের হতে শুরু করেছে। কোকেনে আসক্ত একজন মাদকাসক্ত মানুষকে যদি মাদক খেতে দেওয়া না হয় তাহলে তার মস্তিষ্কে যে ক্যামিকেলগুলো বের হয়ে তাকে অস্থির করে তোলে, ফেসবুকে আসক্ত একজন মানুষকে যদি ফেসবুক করতে দেওয়া না হয় তাহলে তার মস্তিষ্কে সেই একই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ছেলেমানুষী বিনোদন নয় বিষয়টি মাদকে আসক্তির মতো গুরুতর একটি ঘটনা। আমার ধারণা, আজ থেকে চার পাঁচ বছর পর সারা পৃথিবীতেই কমবয়সী ছেলেমেয়েদের ফেসবুক জাতীয় অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নিরুৎসাহিত করার জন্য আইনকানুন করা হবে, প্রচারণা করা হবে। যতদিন এটি না ঘটছে ততোদিন আমাদের পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করে সবাইকে এটি নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই। কারো কারো কাছে নিশ্চয়ই মনে হতে পারে যে আমার পুরো বক্তব্যটা বুঝি এক ধরনের বাড়াবাড়ি। বিষয়টি মোটেও এমন কিছু গুরুতর নয়। কিন্তু আমি মোটামুটি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বিষয়টা যথেষ্ট গুরুতর। মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে সেটা যথেষ্ট রহস্যময়, একজন ছেলে বা মেয়ে যখন বড় হচ্ছে সেই সময়টাতে সে কীভাবে তার মস্তিষ্ক ব্যবহার করেছে তার উপর অনেকখানি নির্ভর করে তার মস্তিষ্কের গঠনটি কেমন হবে। তাই একজন বড় মানুষের ফেসবুক আসক্তি দেখে আমি যতটুকু বিচলিত হই তার থেকে অনেক বেশি বিচলিত হই যদি সেটি হয় কমবয়সী ছেলে বা মেয়ের আসক্তি। কাজেই মোটামুটি গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়, আমাদের ধরা যায়, ছোঁয়া যায় এই বাস্তব জীবনের পাশাপাশি যে ভার্চুয়াল অনলাইন জীবনের জন্ম হয়েছে সেটি থাকার জন্যই এসেছে। তবে এটি ভবিষ্যতে কোনদিকে যাবে সেটি আমরা জানি না। আমি তাই সবাইকে মনে করিয়ে দিই, অনলাইন জীবনের পাশাপাশি যে রক্ত মাংশের বাস্তব জীবনটি আছে সেটি যেন আমরা ভুলে না যাই।
বিষয়: বিবিধ
৮৬৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন