বিশ্বে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত এখন বাংলাদেশে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২১ মার্চ, ২০১৭, ০৭:২৯:৩৫ সন্ধ্যা
বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণায়ণরোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা বিশ্বে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।জলবায়ু সম্মেলনের সাইড ইভেন্টে বাংলাদেশ ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বাংলাদেশের এ অবস্থান ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। এই আলোচনায় বাংলাদেশ ছাড়াও মেক্সিকো, নামিবিয়া ও ভিয়েতনাম স্ব স্ব দেশের কার্বন কমানোর পরিকল্পনা তুলে ধরেন।বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী নয়। এ দেশকে মাথাপিছু দশমিক ৩৫ শতাংশ কার্বন নি:সরণ করে। যা বৈশ্বিক উষ্ণতায় কোনো ভুমিকা রাখে না। তা সত্তে্বও বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে তিনটি খাতে ৫ শতাংশ কার্বন কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিদ্যুত্, পরিবহন ও শিল্পখাতে কার্বন কমানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ পরিকল্পনা গ্রহণ করেই বসে থাকেনি। তা বাস্তবায়নে রোড ম্যাপও তৈরি করেছে। যা খসড়া পর্যায়ে রয়েছে।এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবগুলো খাতের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন দেখভাল করার জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় এই কমিটির সদস্য থাকবে। এছাড়া প্রত্যেকটি খাতে আলাদা আলাদা ওয়ার্কিংগ্রুপ কাজ করবে।ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরন নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে।নামিবিয়া বলেছে, তারা একটি মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে কম কার্বন নি:সরণের জন্য গণপরিবন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এবং বেসরকারি খাতেও কম কার্বন নি:সরণকারী যানবাহনকে উৎহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিরোধ দক্ষতা বাড়ছে। নিজস্ব উদ্যোগেই বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৪০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায়।বাংলাদেশ এখন একটি উদীয়মান দেশ। গত এক দশক ধরে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। এভাবেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের সবগুলো দেশ কার্বন কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করলেও বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে তথা ধরনীকে রক্ষা করতে হলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নির্গমণের ক্ষেত্রে অবদান আরো বাড়াতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন