বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে মরিয়া
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৪ মার্চ, ২০১৭, ০৪:০৬:৪০ বিকাল
ভু-অবস্থানগত দিক থেকে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে আকৃষ্ট হয়ে, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষাখাতে সহযোগিতায় বিদেশীদের আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দিতে বিশেষ আগ্রহী। তারা বাংলাদেশকে আরও সমরাস্ত্র সরবরাহ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সন্ত্রাস প্রতিরোধে সহযোগিতা, যৌথ সামরিক মহড়া ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশ সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে এসব দেশের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা নেবে। ভূ-অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। ভৌগলিকভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মাঝামাঝি অবস্থানে থাকার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতায় বিশেষ আগ্রহী। কোন কোন ক্ষেত্রে এসব দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সে কারণে সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতার চুক্তি করতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য ভারত থেকে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই একটি ভাল পথ হতে পারে। এছাড়া ভারতের প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা, বাংলাদেশের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি এবং সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে হুমকি মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে অভিযান চালানোর বিষয়টি রয়েছে। বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য ৫০ কোটি ডলার লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ঋণ দেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যেই ভারত এই ধরনের চুক্তি ভিয়েতনাম ও মরিশাসের সঙ্গেও করেছে। সমুদ্র ও স্থলসীমা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জটিলতার মীমাংসা হওয়ার পর ভারত বাংলাদেশকে সামরিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। এছাড়া বাংলাদেশ যাতে চীনের দিকে বেশি ঝুঁকে না যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছে ভারত। সে কারণে দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতায় এখন বিশেষ আগ্রহী। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা চীন থেকে বরাবরই উচ্চতর পেশাদারিত্বের প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ চীন থেকে বড় ধরনের সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করে। এই সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় চীন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। ঢাকা-ওয়াশিংটন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে একটি সামরিক লজিস্টিক সহায়তা চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় দেশটি। এছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিভিন্ন সহায়তা দিতে আগ্রহী। যারা সহায়তা করতে আগ্রহী, তাদের কিছু না কিছু স্বার্থ আছে। তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশের ভেবে চিন্তে সঠিক সিদ্ধান্তে নিতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৭১৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন