অভিভাবকদের প্রযুক্তি সচেতনতাতেই মিলতে পারে সন্তানদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৯ মার্চ, ২০১৭, ০৭:১৭:০৩ সন্ধ্যা



বাংলাদেশে মোবাইল ফোন শিল্প গত ১৮ বছরে দেশের ৯৯ শতাংশেরও বেশি মানুষকে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে এসেছে, যা অনেক উন্নত দেশের চেয়েও এগিয়ে। আর একই সঙ্গে তারা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগও পাচ্ছে। আর ২০১৩ সালের শেষের দিকে থ্রিজি চালু হওয়ার পর ক্রমেই তারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে, দ্রুত বাড়ছে এর ব্যবহার। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ডিজিটাল অর্থনীতিতে তরুণসমাজই নেতৃত্ব দেবে, তারাই হবে মূল চালিকাশক্তি। আমাদের দেশের অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠীরই ২৫ বছরের নিচে বয়স। এ বিবেচনায় আমাদের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা, যা কাজে লাগানোয় হতে হবে প্রত্যয়। বাধা দিয়ে কিংবা নিরুৎসাহিত করে নয়, অভিভাবকদের প্রযুক্তি সচেতনতাই স্কুল-কলেজগামী সন্তানদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। দেশে বর্তমানে ৮৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কিশোর ও তরুণ। আর নারীদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিভিন্নভাবে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা দেওয়া কিংবা নিরুৎসাহিত করা কোনো সমাধান নয়; বরং প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন ও সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে পারলে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সন্তানকে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব। ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হলে অনেক ধরনের অপরাধের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরিচিত কাউকে বন্ধু না করা, পরিচয় নেই সাইবার স্পেসে পরিচয় হয়েছে এমন কারও সঙ্গে দেখা করতে না যাওয়া কিংবা ব্যক্তিগত তথ্যবিনিময় না করা, একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য কিংবা ছবি সংযোজন না করা, ভয়েস চ্যাটসহ চ্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা, অপরিচিত কোনো সাইট থেকে অননুমোদিত সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডাউনলোড না করার মতো বিষয়গুলোই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে পারে। সাইবার বুলিং কিংবা অন্য কোনো ধরনের হামলার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মা-বাবা কিংবা অভিভাবককে জানানো উচিত। সরকারের সদিচ্ছা ও অবকাঠামোগত প্রস্তুতির বিচারে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে। এখন তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে মোবাইল অপারেটরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে এর জন্য দরকার যথাযথ যুগোপযোগী নীতিমালা ও বিনিয়োগবান্ধব রেগুলেটরি পরিবেশ। উন্নয়নের এই বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মই হবে কাণ্ডারি, হবে পথিকৃৎ। তারুণ্যের শক্তিই সব কিছুকে অতিক্রম করবে, এটা নিশ্চিত।



বিষয়: বিবিধ

৮০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File