উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও তৈরি করা হচ্ছে ডিজিটাল যাত্রী ছাউনি
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ মার্চ, ২০১৭, ০৩:৪২:০৯ দুপুর
উন্নত বিশ্বের মত এবার বাংলাদেশে তৈরি করা হচ্ছে ডিজিটাল যাত্রী ছাউনি। রাজধানী শহর ঢাকায় প্রথমবারের মতো রাস্তার পাশে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হচ্ছে। যাতায়াতের সুবিধার্থে ও গণপরিবহনকে যত্রতত্র দাঁড় না করিয়ে নির্দিষ্ট স্থান থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য এসব যাত্রী ছাউনি কাম বাস স্টপেজ তৈরি করা হবে। বাসের জন্য অপেক্ষা করা যাত্রীরা এসব ছাউনিতে বিশ্রাম নিতে পারবেন এমন ব্যবস্থাও থাকবে। এসব ছাউনি হবে নারী ও পথচারী এবং যাত্রীবান্ধব। প্রকল্পটি সঠিক বাস্তবায়নকল্পে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় স্থানে এসব ছাউনি নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০টি স্থানে এসব বাস স্টপেজ কাম যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হবে। রাজধানীকে চারটি রুটে ভাগ করে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে ১০টি করে মোট বিশটি স্থানকে নির্বাচন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও শতাধিক স্থানে এরকম যাত্রী ছাউনি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রতিটি বাস স্টপেজ কাম যাত্রী ছাউনি অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি করা হবে। এসব যাত্রী ছাউনিতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য থাকবে বিনামূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। চলাচলকারী নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন লাইটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। দূর থেকেই যে কোনো মানুষ যাতে সহজেই চিহ্নিত করতে পারেন এজন্য বিভিন্ন স্থানে দিক নির্দেশক দেওয়া থাকবে। সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ছাউনিতে যাত্রীর নিরাপত্তায় বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। নারী যাত্রী যাতে এসব ছাউনিতে বিশ্রাম নিতে পারেন তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হবে। যাত্রী ছাউনিতে নির্দিষ্ট সময় পর সিটিতে চলাচলকারী বাস কোম্পানির বাস এসে থামবে। এজন্য ছাউনিতে বাসের সময়সূচি ও দূরত্ব উল্লেখ করা থাকবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে নির্দিষ্ট দূরত্বের ভাড়াও উল্লেখ করা থাকবে। এজন্য তৈরি করা হবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা থাকবে, যা এসব ডিজিটাল ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হবে। ডিজিটাল বোর্ডে পরবর্তী বাস কতক্ষণ পরে আসবে তা দেখা যাবে। জনগণের সুবিধার্থে সরকারের এ পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
বিষয়: Contest_priyo
১২৬০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্বাভাবিক , কারণ বিদেশী প্রভুরা আসা যাওয়া করে এই পথেই । তাদেরকে তো দেখাতে হবে যে দেশ এগিয়ে গেছে!
তবে কাকলী - বনানী - নৌ বাহিনী অফিসের মোড়ে যেই জ্যাম লাগে সেটার ফলে এই ডিটিলাটের টাল সামলানো যাবে কি না সন্দেহ আছে ।
এই রাস্তা দিয়ে তো আমাদের সরকারের মাথারা বিদেশ থেকে আসা যাওয়া করেন । তাদের স্মুথ চলাচলের জন্য জন্য রাস্তা খালি করে দেওয়া হয় । তখন কি হবে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন