চাষীদের হাতে আসছে লেট ব্লাইট প্রতিরোধী আলু

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৪:৪৭:২০ বিকাল

দেশে আলুর চাহিদা রয়েছে এক কোটি মেট্রিক টন। বর্তমানে দেশে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। প্রতি বছর আলুর এ রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রচুর ছত্রাকনাশক বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ছত্রাক বা লেট ব্লাইট প্রতিরোধী দুটি নতুন জাতের আলুর পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, ছত্রাকনাশক ছাড়াই 'অ্যালুয়েট' ও 'ক্যারোলাস' নামের দুই জাতের আলু চাষ সম্প্রসারিত হলে ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি আলুর উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি কম খরচে লাভবান হবে আলুচাষীরা। একই সঙ্গে ছত্রাকনাশকের বিরূপ প্রভাব থেকে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা পাবে। দুই বছরের পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অন্য জাতের আলু প্রতি হেক্টরে ১৬ থেকে ১৯ মেট্রিক টন পর্যন্ত হয়। অ্যালুয়েট ও ক্যারোলাস প্রতি হেক্টরে ৩৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন হচ্ছে। অ্যালুয়েট লাল বর্ণের এবং ক্যারোলাস সাদা বর্ণের মধ্যে লাল চোখের। দুটিই খেতে সুস্বাদু। অতিমাত্রায় লেট ব্লাইট সহনীয় ওই দুই আলুর আবাদ দেশে ছড়িয়ে পড়লে ছত্রাকনাশক আমদানি করতে হবে না। অন্য আলুর থেকে এই আলুর ফলন বেশি। যত দ্রুত সম্ভব এই বীজ চাষিদের হাতে পৌঁছানো দরকার। লেট ব্লাইট আলুর একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে শতাংশ ৩০ আলুর ফলন নষ্ট হয়। গাছের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ দেখা দিলে ৮০ শতাংশেও বেশি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীঘ্রই আরও উচ্চতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কৃষকদের হাতে এই আলু তুলে দেয়া হবে। লেট ব্লাইট প্রতিরোধী আলু দ্রুত কৃষকদের মধ্যে সম্প্রসারণ করা হলে ছত্রাকনাশকের ব্যবহার কমবে, পরিবেশদূষণ রোধ হবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত আলু সরবরাহ নিশ্চিত হবে।

বিষয়: বিবিধ

৯১৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381929
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ০৭:২৫
সামছুল লিখেছেন : জেনে ভাল গাললো।আমারর বাড়ী জয়পুরহাট জেলাই,প্রতিবছর ৫-৭ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করি। অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File