জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পদ সুন্দরবন
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৫৬:৫৭ দুপুর
সুন্দরবন আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং আন্তর্জাতিক সম্পদও বটে। সুন্দরবন একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশীদার হতে পারায় গর্ববোধ করি। সুন্দরবনকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। এর পেছনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। রহস্যময় ও চমৎকার এই সুন্দরবন। বিরাট এলাকা জুড়ে আছে এ বন। এর আয়তন প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবন প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে। জোয়ারভাটা না হলে সুন্দরবন বাঁচবে না। পূর্ণিমা ও অমাবস্যার তিনদিন আগে ও পরে জোয়ার ভাটার পানি আসে। স্থানীয় ভাষায় একে বলে জুগার পানি। সুন্দরবনের গাছপালা মাতৃগর্ভে অঙ্কুরোদগম হয়। সুন্দরবনকে ‘ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট’ বা লবণাক্ত জলাভূমির বনও বলা হয়। আমাদের ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি রক্ষার ক্ষেত্রে পৃথিবীর একক বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের গুরুত্ব অপরিসীম। ম্যানগ্রোভ হলো একটি বিশেষ ধরনের বন। এ বন সৃষ্টি হয় নোনা ও মিঠা পানির মিলিত প্রবাহের এলাকায়। তবে সে পানির মাত্রা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলেই এমন বন গড়ে উঠতে পারে। সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদে ভরপুর। এ বনের গহিন নির্জন অরণ্যের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়ে সুন্দরী ও গোলপাতা গাছের সারি। সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে নানারকম পশুপাখি ও জীবজন্তু বসবাস করে। এর মধ্যে উলে¬খযোগ্য হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, বন্যশুকর, সজারুসহ প্রায় ৪২ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। এগুলো আমাদের সম্পদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এরা সহায়ক। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস—এ কথা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’—এ খবর আমরা অনেকেই জানি না। সুন্দরবনকে ভালোবাসেন এমন ব্যক্তিদের উদ্যোগে ২০০১ সাল থেকে বেসরকারিভাবে সুন্দরবন দিবস পালন করা হচ্ছে। উপকূলীয় ৫টি জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকায়ও এ দিবসটি সগৌরবে পালিত হয়। সুন্দরবনের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধি পাক। সুন্দরবনকে ভালোবাসুন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আমাদের ভালোবাসার বিষয় হোক সুন্দরবন।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন