বিচার ব্যবস্থায় ডিজিটালের ছোঁয়া
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৫১:১৪ দুপুর
ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশের প্রতিটি কোনায়।দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্দীর বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থায় আদালতে না নিয়েই কারাগারের ভেতরে রেখেই বন্দীর হাজিরা, সাক্ষী ও জবানবন্দী নিয়ে বন্দীর বিচার করা হবে। এর মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে রেখেই শেষ হবে পুরো বিচার কাজ। বিচার ব্যবস্থায় উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতেই এই পাইলট প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্দীর সর্বোচ্চ
নিরাপত্তা প্রদানে বিচারিক ব্যবস্থায় এ ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে সরকারের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে বন্দীর বিচারিক কাজ করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষী গ্রহণ, হাজিরা ও বিচার কাজ চলমান রয়েছে। বন্দীর অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে বন্দীর বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন করে বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও কারা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিফলন ঘটাতে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। ‘এ টু আই’ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় কারা অধিদফতর ইতোমধ্যেই এটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু করেছে। এ পদ্ধিতে বিচার চালু করা গেলে শীর্ষ অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আটক বিচারাধীন বন্দীর বিচারের জন্য কারাগার থেকে আদালতে আনা নেয়া করতে হবে না। ফলে রাস্তায় বন্দী ছিনতাই, আসামির পলায়ন নিয়ে কোন ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিচারকার্যে বন্দীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের ভেতরে ও কারাভ্যন্তরে টেলিভিশনসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি প্রতিস্থাপন করে বন্দীর সঙ্গে সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে ও সশরীরে উপস্থিতি দেখে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে জঙ্গী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ, আলোচিত এবং স্পর্শকাতর সব মামলার আসামিদের এ পদ্ধতিতে বিচার করা হবে। তবে জেলা জজ আদালতের বিচারাধীন আসামিদেরই এ পদ্ধতিতে বিচার করা হবে। দেশের ৬৮ কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারে আটক বন্দী বিবেচনা করে এর মধ্যে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও শীর্ষ অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আটক বন্দীর কারাগার বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি প্রিজন্সে আটক বন্দীদের এ পদ্ধতিতে বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতির নতুন এ বিচারিক ব্যবস্থা চালুর জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির একটি অংশ সংশোধন করতে হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন বিষয়ে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিচারিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা যায় কিনা বা এ সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের আইনী মতামত প্রদান করতে ইতোমধ্যে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই এই পাইলট প্রকল্প চালু হবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৫০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন