একেই বলে ভালবাসা!!!
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৪:২৮:৩৪ বিকাল
লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীন দেশের স্বাধীনচেতা সর্বস্তরের গণমানুষের নিরন্তর ভালবাসা কাহাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? তাদের ন্যায় আমি বা আমরা একজন দলীয় কর্মি হিসেবে কখনো কি ভালবাসতে পেরেছি? নিশ্চয়ই নয়? সত্যিকার অর্থে শেখের বেটি হাসিনার মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনায় অসংখ্য মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষার অন্ত নেই। আর তেমনি পিতার ন্যায় তিনিও যে সর্বস্তরের গণমানুষদেরকে নিরন্তর ভালবেসে বার বার নিজের জীবনটি উৎসর্গ করছেন। সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ তা উপলদ্ধি করেই নিরন্তর ভালবাসা দিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ গিভ এন্ড টেক। পরখ করুন জাতির পিতার কন্যাদ্বয়ের প্রতি তাদের ভক্তি ও প্রেম ভালবাসার ধরন! যারা এজাতির সহায় সম্বল উইল করে দিয়েছেন কেউবা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ ও নফল নামাজ রোজা আদায় করে যাচ্ছেন, এমনকি শতবার পবিত্র আল কোরআন খতম করে যাচ্ছেন কিংবা সারা জীবন রোজা রেখেও যাচ্ছেন এবং প্রকৃত পক্ষে গণমানুষেরা মন থেকে হৃদয় দিয়ে ভালবেসে নিরন্তর দোয়া প্রার্থনা করে চলেছেন মসজিদ মন্দির গির্জায় পরম দয়ালু মহান আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতের দরবারে আমিন। বীর-বাঙালি জাতিকে নিয়ে বিশ্বসভায় উন্নত সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল জাতিতে রূপান্তরিত করতে গিয়ে যিনি সত্যিকারের দিন রাতের ফারাকটি পর্যন্ত ভুলে গেছেন। মোটকথা হলো; মানুষের প্রেম ভালবাসার ঢালী মাথায় নিয়ে জীবন দিতে পারবে কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবে না। প্রকৃত পক্ষে উপলদ্ধি করুন! আর নিজের বিবেক বুদ্ধির বিচারের রায় নিজেরাই প্রয়োগ করুন। তাহলেই সত্য মিথ্যার প্রকৃত ফলাফল পাওয়া যাবে। আর তাদের ন্যায় পাশে থেকে নিরন্তর ভালবাসায় সিক্ত কর্ণধার হিসেবে গ্রহন করুন নিজের অন্তরে স্থান দিন বিশ্ব মানবতার কল্যাণকামী জনতার এই প্রিয় নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে।
বিষয়: বিবিধ
৭৯৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার প্রশ্ন হলো, গত ১৪ই আগষ্ট'১৬ একদল চাটুকার বঙ্গবন্ধুকে বাংলার নবী হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর পেইজ থেকে প্রচার হয়েছিল। সচেতন মুসলিমদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পরে ছবিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।কিন্তু এই ব্যাপারে চাটুকারদের শাস্তির আওতায় আনতে দেখলাম না। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কোন নেতাকে কোনো কথা বলতেও দেখিনি। ফলে সেই চাটুকারের দল আরোও বেপরোয়া হয়ে যায়। এর ধারাবাহিতায় গত ৭ই ফেব্রু'১৭ ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ এর ২৬ তলা ভবনের নীচ তলায় নামাজের জন্য সংরক্ষিত জায়গা, যেটা মসজিদ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেখানে মুসল্লিদের সামনে এমনভাবে ছবিটি রাখা হয়েছে, যেন বঙ্গবন্ধুকেই সেজদা করানো হচ্চে(নাউজুবিল্লা)! (প্রথম ছবিতে দেখুন) বিষয়টাকি এমন হয়ে গেলোনা, চাটুকারেরা বঙ্গনবীকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের দ্বারা কৌশলে সেজদা করাচ্ছে!!
মহান ইসলাম ধর্মে মূর্তি, ছবি অথবা কোন ব্যক্তির সামনে মাথানত করা শিরক। আর ইবাদতের স্থানে কোনো প্রকার মূর্তি বা ছবি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাহলে কোন নীলনকশার বাস্তবায়নে এটা করা হচ্ছে?
বঙ্গবন্ধুকে আমিও সম্মান করি, তার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশীরা বঙ্গবন্ধুকে চিরদিন স্মরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।সরকারী দলের মধ্যে একদল তৈলমর্দনকারী রয়েছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানান সময় নানান বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজেদেরকে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসার তৎপরতায় লিপ্ত। যদিও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু শুনিনি। কারণ মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীও একজন ধার্মিকা মহিলা। কিন্তু চাটুকারদের কাছে আমার প্রশ্ন, তোরা যেই বঙ্গবন্ধুকে বাংলার নবী বলে প্রচার করলি সেই বঙ্গবন্ধুকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দিয়ে পূজা করিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইলি? একজন সম্মানী লোককে বিতর্কিত করতে তোরা আর কত নিচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবি?
বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রেখেই মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, প্লিজ চাটুকারদের লাগাম টেনে ধরুন, তাদের কে আর প্রশ্রয় দিবেন না। তারা বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে সদা তৎপর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন