বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৪৮:০৮ দুপুর
দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে পায়রা বন্দর এলাকায় নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অপারেশনে যাবে। ওই বিদ্যুৎ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সঞ্চালন লাইনের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। সে জন্য পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমদানিকৃত কয়লা
দিয়ে সরকার দেশের কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর এলাকায় নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, যার প্রথম ইউনিট ২০১৯ সালের এপ্রিলে অপারেশনে আসবে। বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্তি করতে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রয়োজন। তবে ওই ইউনিট অপারেশনে আসার ন্যূনতম ৩০ দিন আগে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে। পটুয়াখালী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত পরিকল্পনাধীন ১৬০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনটি গোপালগঞ্জের ৪০০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে মংলা-আমিনবাজার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সাথে যুক্ত হবে। এতে গোপালগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। অবশিষ্ট বিদ্যুৎ আমিনবাজার ৪০০/২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ঢাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গোপালগঞ্জের সঞ্চালন লাইন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৩২২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যার মধ্যে সরকারি অর্থায়ন হবে ৮২ দশমিক ৮২ শতাংশ। প্রকল্প সহায়তা হলো মোট ব্যয়ের মাত্র ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সাধারণত বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে জিওবি বা সরকারি অর্থের পরিমাণ থাকে মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ। ৮০ শতাংশ থাকে বিদেশী সহায়তা। এ প্রকল্পে জিওবি অর্থের ওপর চাপ কমানোর জন্য বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ আরো বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মাদারীপুর থেকে গোপালগঞ্জ পুরনো ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট ইন-আউট ৮ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ, মাদারীপুর থেকে ফরিদপুর ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট ১ কিলোমিটার ইন-আউট লাইন নির্মাণ এবং গোপালগঞ্জে ৪০০/১৩২ কেভি, ৩ গুণ ৩২৫ এমভি উপকেন্দ্র নির্মাণ। এ দিকে প্রকল্পে বড় ধরনের অর্থ ব্যয় করে দুইটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাসের জন্য। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন জরুরী।
বিষয়: বিবিধ
৯২১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন