কক্সবাজারে হবে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহি টার্মিনাল
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৫:২৯:৫০ বিকাল
উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রাকে সুসংহত করতে এবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রেজু খালের মোহনায় আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক যাত্রীবাহী টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। টার্মিনালটি নির্মিত হলে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, থাইল্যান্ডের ফুকেট, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কার কলম্বো ও ভারতের চেন্নাই বন্দরের সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ সহজতর হবে। একই সঙ্গে এ টার্মিনাল ব্যবহার করে খুব সহজেই যাওয়া যাবে নাফ নদীর উজানে সাবরাং এলাকায় নির্মীয়মাণ বিশেষ ট্যুরিজম স্পট, নাফ ট্যুরিজম পার্ক, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া ও মহেশখালীতে। ইতোমধ্যে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সার্ভের কাজ শুরু করেছে চবক এর দুটি টিম। সরকার বর্তমানে কক্সবাজার ও টেকনাফের মধ্যবর্তী এলাকাকে ঘিরে পর্যটনশিল্প বিকাশের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) ইতোমধ্যে টেকনাফের সাবরাংসহ কয়েকটি এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এই আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক যাত্রীবাহী টার্মিনাল নির্মিত হলে মানুষ যেমন সহজে দেশের অভ্যন্তরীণ জলপথে যাতায়াত করতে পারবে, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতও সহজ হবে। বর্তমানে সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রীবাহি ক্রুজ জাহাজগুলো মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন হয়ে ভারতের চেন্নাই, মুম্বাই ও শ্রীলংকার কলম্বোতে পৌঁছায়। যদি কক্সবাজারে এ ধরনের একটি টার্মিনাল নির্মিত হয় তবে এসব ক্রুজ জাহাজ আমাদের এখানেও ভিড়বে, যাত্রীরা সমুদ্রপথে এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজে যাতায়াত করতে পারবে। রেজু খালের মোহনায় সাগরের ড্রাফট (গভীরতা) ভালো বিধায় সামান্য পরিমাণে ড্রেজিং করলেই এখানে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী ক্রুজ জাহাজগুলো ভিড়তে পারবে। উল্লেখ্য, বিশ্বের সব বন্দরেরই দুটি অংশ থাকে - একটি যাত্রী পরিবহন, অন্যটি মালামাল পরিবহন। কিন্তু ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সৌদি আরবে হজ যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এদেশে সমুদ্রপথে বিদেশে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। তবে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগের আওতায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে রেজু খালের মোহনায় একটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক যাত্রীবাহী টার্মিনাল গড়ে তোলা হলে বিষয়টি এ শিল্পের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্ভাবনার নব দিগন্তের উন্মোচন করবে। এতে দেশের পর্যটনশিল্পের সমৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের কানেকটিভিটি বাড়াতে অর্থনীতিতেও গতি আসবে। বর্তমান সরকারের এ ধরণের সময়োপযোগী উদ্যোগেই নিশ্চিত হবে দেশের সমৃদ্ধ আগামী।
বিষয়: বিবিধ
৭৭২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন