উন্নয়নের স্পর্শে বদলে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের চিত্র
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৩৯:০৪ দুপুর
রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী কৃষিপ্রধান, ব্যবসা ও প্রবাসীনির্ভর অঞ্চল দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা। প্রত্যন্ত এই জনপদ বর্তমানে উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে। আগে যেখানে মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে গন্তব্যে যেতে হতো, এখন সেখানে তৈরি হয়েছে পাকা সড়ক। নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ব্রিজ। বর্তমান সরকারের তিন বছরে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের প্রচেষ্টায় এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে যাচ্ছে। দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় গড়ে উঠেছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন, বিলাসবহুল বাড়িঘর, প্রাইভেট ক্লিনিক, মোবাইল ব্যাংকিং, সাইবার ক্যাফে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন শপিং সেন্টার। এক সময়কার অবহেলিত এ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্রই পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। সন্ধ্যার পরই আলোকিত হয়ে উঠছে গ্রামের প্রতিটি বাড়ি ঘর। নেই কোনো সাম্প্রদায়িকতা। মসজিদ, মন্দির, গির্জার মিলনমেলায় একাকার হয়ে আছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। উৎসবের আমেজ যেন সবার দুয়ারে। তথ্যপ্রযুক্তিতেও এগিয়ে চলেছে দোহার-নবাবগঞ্জ। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে সামান্য খরচে তৃণমূলের জনসাধারণ পাচ্ছেন জন্মসনদ, ভিসা যাচাই ও অনলাইনে চাকরির আবেদন করার মতো অতি জরুরি সেবাগুলো। ইতিমধ্যে দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ অ্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও দোহারের পদ্মা কলেজকে জাতীয়করণ করা হয়েছে। যার ফলে এই অঞ্চলের কৃষক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম হয়েছে। এখানে উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে দুটি সরকারি হাসপাতাল। ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে কমিউনিটি ক্লিনিক যার মাধ্যমে এখন জনগণের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। সার-বীজসহ কৃষি উপকরণেরও কোনো অভাব নেই এ অঞ্চলে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সার্বিক সহায়তায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্রামে আইপিএম ক্লাব। যেখানে কৃষকরা সদস্য হয়ে জানতে পারছেন কৃষি আবহাওয়ার সংবাদ, কীটনাশক ছাড়াই ফসলের রোগবালাই দমনের পদ্ধতি ইত্যাদি। এতে করে বিগত সময়ের চেয়ে কৃষিতে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সার্বিক আইনশৃংখলাও ভালো আছে। ইতিমধ্যে কালীগঙ্গা নদীর ওপর পাড়াগ্রাম-সিরাজপুর সেতু ও ইছামতি নদীতে ধাপারী-বাজার-গবিন্দপুর সেতু, নবাবগঞ্জের অবহেলিত পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতে বান্দুরা নূরনগর সেতু ও জামসা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া দোহারের লটাখোলা করমআলীর মোড় এলাকার সেতুসহ বেশকিছু ব্রিজ ও কাঁচা-পাকা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী ছিল। এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পুরনো ভবন সংস্কারের পাশাপাশি নতুন ভবনও নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার গ্রাম ও শহরের ব্যবধান কমিয়ে আনতে যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দোহার ও নবাবগঞ্জ তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বিষয়: বিবিধ
৬৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন