নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৪৩:১১ দুপুর



দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে রাজধানী ঢাকা ও পূর্বাঞ্চলে যাত্রী-পণ্য পরিবহন নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রাবাড়ী-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। এতে বদলে যাচ্ছে এলাকার চিত্র। মহাসড়কটি হবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ও এশিয়ান হাইওয়ের করিডর-১ এর অংশ। নতুন এই প্রকল্পের কোথাও ট্রাফিক ক্রসিং থাকবে না। ফলে যানবাহন নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহনের জন্য নির্মাণ হচ্ছে পৃথক লেন। কাজ এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে মহাসড়কের দু’ধারে থাকা গাছপালা কেটে পরিষ্কার করে ফেলা হচ্ছে। চলছে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম। অবকাঠামো নির্মাণের প্রক্রিয়াও চলছে সমান গতিতে। অর্থাৎ এলাকাজুড়ে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে সড়কের উভয়পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য পাঁচ দশমিক ৫০ মিটার প্রশস্ত পৃথক লেন থাকবে। এটিও দেশে প্রথম। সড়ক যোগাযোগ খাতের মেগা এই প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ২৫২ কোটি টাকারও বেশি; যা শেষ হবে ২০১৯ সালে। মহাসড়কে ইতোমধ্যে অটোরিক্সাসহ ধীরগতির ও অনুমোদনহীন যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পদ্মা সেতু ব্যবহার করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে যাতায়াত দ্রুততর, নির্বিঘ্ন ও সহজতর করা এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নের জন্য যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন (ইকুরিয়া-বাবুবাজার) লিংক সড়কসহ মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা মহাসড়ক উভয়দিকে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন এ প্রকল্পে থাকছে ৬টি ফ্লাইওভার, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস, ১৫টি আন্ডারপাসসহ তিনটি ইন্টারচেঞ্জ। এসব সুবিধা সংযোজনের ফলে মহাসড়কটি একটি এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরিত হবে। সড়কের দু’পাশে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন করা হবে। মহাসড়কটি হবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। সড়কের কোথাও ট্রাফিক ক্রসিং না থাকার ফলে যানবাহন নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। মেগা প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-পশ্চিমের আওতাধীন ১৭ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নসহ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের পূর্বাঞ্চলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক হবে। পদ্মা সেতু লিংক রোড চার লেনে উন্নীত করার কাজ সম্পন্ন হলে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আগত যানবাহনগুলো যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন হয়ে সহজে ও স্বল্প সময়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করতে পারবে। এক কথায় যোগাযোগ খাতে প্রভুত উন্নতি সাধিত হবে।



বিষয়: বিবিধ

৯৬৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381199
০৮ জানুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
স্বপন২ লিখেছেন : জন সংখ্যা গ্রোর্থ অনুযায়ী মিনিমাম আট লেইন
দরকার। নো নলেজ , Highway Planning
and Management. মোটা মাথার লোক রয়েছে প্রশাসনে।https://www.transportation.gov/

381200
০৮ জানুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:০৯
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :
,বাংলাদেশ যেহেতু ঘন বসতি দেশ। আগামী একশত বছরের Transportation Planning নলেজ থাকা দরকার।মানদাতার আমলের চিন্তা করলে হবে না। খামাখ্যা জনগনের টাকা নষ্ট করা।


381216
০৯ জানুয়ারি ২০১৭ সকাল ০৮:৫৩
হতভাগা লিখেছেন : যত কিছুই করা হোক না কেন , এক্সিস্টিং জনবল ও এক্সিস্টিং মানসিকতা নিয়ে চললে যেই লাউ সেই কদুই থাকবে ।

সিস্টেম করে এসব পরিবহনের সিডিউল ও মেইনটেইনেন্সে ঘাপলা বাঁধিয়ে রাখা হবে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File