রাবার বাঁধ কৃষকের যেন আশীর্বাদ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৩:১০:৫৩ দুপুর
২০১৩ সালে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে শেরপুর জেলায় দ্বিতীয় রাবার বাঁধ ও সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে শুষ্ক মৌসুমে নদীর উজানের পানি মজুদ করা সম্ভব হচ্ছে। মজুদ পানি চারটি ক্যানেলের মাধ্যমে নকলা, নালিতাবাড়ী, হালুয়াঘাট ও ফুলপুর উপজেলার কিছু অংশের প্রায় ৩০ গ্রামের অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছে। রাবার ড্যামের সুবিধা পাওয়ায় বছরে ৯ কোটি টাকার অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হচ্ছে। উপজেলার উরফা ইউনিয়নের তারাকান্দা এলাকায় ভোগাই নদীতে রাবার বাঁধ নির্মাণ করায় সাড়ে ৩ হাজার একর অনাবাদি জমি সেচের আওতায় এসেছে। এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যয় কমার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা হচ্ছে। তাছাড়া রাবার ড্যাম ও সেতু নির্মাণ হওয়ায় নদীর দুই পাশের হাজারো জনগণের মধ্যে যোগসূত্র সৃষ্টি হয়েছে। উন্মোচিত হয়েছে অবহেলিত মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম। পাল্টে গেছে উপকারভোগী এলাকার চিত্র। উন্নত হয়েছে মানুষের জীবনমান। শেরপুরের রাবার ড্যাম প্রকল্প কৃষকের আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। উজানের দুই তীরের কৃষক এলএলপি পাম্প দিয়ে সেচের মাধ্যমে শাকসবজিসহ বোরো আবাদে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছেন। পাশাপাশি সেতু হওয়ায় কৃষক উৎপাদিত শাকসবজি ও সব কৃষিপণ্য সহজে বিভিন্ন শহরের হাটবাজারে সরবরাহ করে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। ফলে এ এলাকার এক সময়ের অবহেলিত কৃষকের জীবনমানের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন