কলাতলির মোড়ে এবার শৈল্পিক ‘সার্ফিং ভাস্কর্য’

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৩:০৬:৫১ দুপুর



পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার খ্যাত কলাতলি চৌরাস্তার মোড়ে এবার স্থাপিত হবে শৈল্পিক সৌন্দর্যমন্ডিত "সার্ফিং ভাস্কর্য'। সমুদ্রের নীল জলরাশিতে খেলা করছে ডলফিন আর সাগরের উত্তাল তরঙ্গের মাঝে ঢেউয়ের সাথে লড়াই করে জাতীয় পতাকা হাতে সার্ফিং করছেন সার্ফার জাফর, "সার্ফিং ভাস্কর্য' এর জন্য এমন নকশারই অনুমোদন দিয়েছে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি দৃষ্টি আকর্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কক্সবাজারের সৌন্দর্য বর্ধন, জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভাস্কর্যটির নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্থাপিত হলে সড়কপথে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ কলাতলি মোড়ে পৌঁছলেই ভাস্কর্যটি প্রথম নজরে পড়বে পর্যটকদের। কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির উদ্যোগে ভাস্কর্যটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সাগরে কোন হাঙ্গর নেই। অথচ শহরের প্রবেশদ্বার কলাতলিতে ইতোপূর্বে স্থাপিত ‘সার্ক ভাস্কর্য’টিতে হাঙ্গরের উপস্থিতি পর্যটকদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, যাতে দেশীয় পর্যটন শিল্পের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ কারণেই বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় চূড়ান্ত পর্যালোচনা করে কলাতলির মোড়ের ভাস্কর্যটি দেশীয় পর্যটন শিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বিবেচনায় পরিবেশবান্ধব ও পর্যটকদের আর্কষণ করবে এমন একটি ভাস্কর্য স্থাপন করার সময়োপযোগী উদ্যোগের অংশ হিসেবে "সার্ফিং ভাস্কর্য' স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ভাস্কর রাশা ‘চোয়াল’ ভাস্কর্যের নকশা প্রদান করেন। নকশায় দেখা যায়, একজন সার্ফার সমুদ্রে সার্ফিং করছেন বাংলাদেশের পতাকা হাতে আর চারপাশে ডলফিন খেলা করছে। কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব মাথায় রেখে সমুদ্রের ডলফিনের প্রতিচ্ছবি এবং সার্ফিং করার দৃশ্য এ ভাস্কর্যে তুলে ধরা হবে। নতুন ভাস্কর্যটির স্থাপনা দৃশ্যমান হলে সার্ফিংয়ে বাংলাদেশের খ্যাতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়বে। কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের প্রথম দর্শনকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে কলাতলি মোড়ের সড়কটিকে করা হবে বিশ্বমানের, সাজানো হবে নতুন করে। এ প্রকল্পে থাকবে চার লাইনের রাস্তা, ফুলের বাগান, পর্যটকদের বসার চেয়ার, পর্যাপ্ত ফুটপাথসহ আকর্ষণীয় ফোয়ারা ও ম্যুরাল। এ ধরণের নানা সময়োপযোগী উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নেই নিশ্চিত হবে অফুরন্ত সম্ভাবনাময় দেশীয় পর্যটন শিল্পের বিকাশ।

বিষয়: বিবিধ

৮৯২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381167
০৬ জানুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:২১
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের পানি কালো , কুচকুচে। বাইরের গুলো কি স্বচ্ছ ও নীল !

এখানে বিদেশী কেউ সার্ফিং করতে চাইবে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File