ফিরে দেখা স্বাস্থ্যখাত
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৫:২০:২৪ বিকাল
কেটে গেছে একটি বছর। বিদায় ২০১৬ সাল। এই বছরকে বলা যায় স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের বছর। এই বছরে বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। জেলা পর্যায়সহ সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, এনজিওগ্রাম ও বেশকিছু হাসপাতালে হূদরোগের শল্য চিকিৎসার সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতি কমেছে। ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বাস্তবায়নের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মা ও নবজাতকের ধনুষ্টংকার উচ্ছেদে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশকে পুরস্কার দিয়েছে। ডেঙ্গু রোগে মৃত্যু নেই বললেই চলে। ডেঙ্গুসহ যক্ষ্মা, এনথ্রাক্স, নিপা, সার্স, মার্স করোনা ভাইরাস এ সব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। নার্সি ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর হয়েছে। আগে ৮৫টি দেশে ওষুধ রফতানি হতো। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ১২৫টি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে। চলতি বছর একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স। একসঙ্গে কোনো একটি বিভাগ থেকে এত নিয়োগ দেশে এটাই প্রথম। শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই রেকর্ড নেই। পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় বিশ্বের প্রথম ইনস্টিটিউট হচ্ছে দেশে। ৫০০ বেডের বিশেষায়িত বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এত পোড়া রোগীর একসঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা আর কোথাও নেই। এখানে রোগীদের চিকিৎসা ও সার্জারি দুটিই বিনামূল্যে করা হবে। টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলা সদরে হেলথ কার্ড বিতরণের মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা হেলথ কেয়ার’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। টাঙ্গাইলের কালিহাতি, মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলায় দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডির লাজ ফার্মা এবং গ্রীন রোডের বায়োমেড ফার্মেসিকে নতুন আঙ্গিকে চালুকরণের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মডেল ফার্মেসির কাজ শুরু হলো। প্রতি জেলায় কমপক্ষে একটি করে মডেল ফার্মেসি চালু করা হবে। মান যথাযথ রাখার পাশাপাশি সঠিক ওষুধের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে মডেল ফার্মেসি ভূমিকা রাখবে। সার্বক্ষণিক রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগসহ সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা মেনে মডেল ফার্মেসি কাজ করবে।সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতকে উন্নয়নের বছরই বলা চলে।
বিষয়: বিবিধ
৮৯০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন