আবারও প্রমানিত হল ক্ষমতায় থেকেও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৪:১১:১৬ বিকাল
ক্ষমতায় থেকেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব তা প্রমানিত হল গত ২২ ডিসেম্বর নারায়গঞ্জের সিটি নির্বাচনে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। যেখানে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। বিরোধী দল বিএনপিরও এ নির্বাচনে স্বস্তি আছে। কারণ এ নির্বাচনে কোনো নেতা বা কর্মী ও পোলিং এজেন্টকে হয়রানির শিকার হতে হয়নি। সর্বোপরি জনগণ তাদের পছন্দমতো ভোট দিতে পেরেছে। আর আওয়ামী লীগ তথা সরকার প্রমাণ করতে পেরেছে যে ক্ষমতায় থেকেও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। এই স্বস্তি ও সম্ভবের আড়ালে কী কাজ করেছে তার হিসাব নিয়ে বসেছেন নির্বাচন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা। আমরা দেখে আসছি এদেশে নির্বাচন মানে পেশিশক্তির ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার, আইন-কানুন লঙ্ঘন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অযথা হয়রানি তথা নির্বাচন থেকে দূরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা। এখানে আরো দেখলাম যে সদিচ্ছা থাকলে দলীয় নেতা-কর্মীদেরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়— যা আগে ভাবা যায়নি যা বর্তমান সরকারের একটি ইতিবাচক দিক। কেউ কেউ বলছেন, নারায়ণগঞ্জে পরিচ্ছন্ন প্রার্থী ছিল। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। হ্যাঁ, ভালো ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থী দিতে পারলে নির্বাচনের ৩০ শতাংশ জয় নির্বাচনের আগেই হয়ে যায়। সদিচ্ছা থাকলে যে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব। তাই দেখা গেল নির্বাচনী মাঠে যতই তর্জন-গর্জন, লড়াই করুক না কেন পরিচ্ছন্ন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের দু’প্রার্থীই একসঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁরা দুজনেই নারায়ণগঞ্জকে ভালোবাসেন— যা আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও কাম্য। আমাদের সকলের উচিত হবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকার নিয়ে আর বিভ্রান্তমুলক মন্তব্য না করে মন মানসিকতার পরিবর্তন করা তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৯২৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রবং এসব নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দিয়ে নিজেদের একটা নিরপেক্ষ লুক স হজেই আনা যায় ।
প্রতিপক্ষ নির্বাচিত হলেও কোন সমস্যা নেই , সরকার যন্ত্র ব্যবহার করে তাকে নির্বাচিত হবার ৫ মিনিট পর থেকেই মামলা - হামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে । তাকবে সে দৌড়ের উপর , জেল হতে জেলে।
পেছনে থেকে ক্ষমতা সরকারী দলের হাতেই থাকবে । অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালাবে , দোষ হবে পলাতক নির্বাচিতের।
মন্তব্য করতে লগইন করুন