বিনা খরচে ৬ হাজার কর্মী নিচ্ছে কাতার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৩:২১:০৩ দুপুর
বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। ২০১৫ সালে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার কর্মী কাতারে গেছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত গেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৬৩৪ জন। প্রতি মাসেই কাতার থেকে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় আসছে। এই অর্জনের পাশাপাশি নতুন করে নির্মাণ কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে আরও ৬ হাজার কর্মী নেবে কাতার। কোনোরকম খরচ
ছাড়াই নেয়া হবে কর্মীদের। যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়াসহ সব খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ থেকে যে সব কর্মী নেয়া হবে তারা মূলত ইতালির একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করবেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম স্যালিনি ইমপ্রিগিলো। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে পৃথিবীর ৫০টি দেশে কাজ করছে। ৩৫ হাজার কর্মী কাজ করছেন স্যালিনি ইমপ্রিগিলোতে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত কাতারে নতুন একটি ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে। আগামী ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য কাতারের আল খোরে আল বায়াত নামে এই স্টেডিয়াম বানানো হবে। দোহা থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে তৈরি হচ্ছে এটি। এতে ৭০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এর কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট। স্টেডিয়াম ছাড়াও কাতারের একটি আবাসিক এলাকা তৈরির কাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সব প্রকল্পে নির্মাণ কাজ দেয়া হবে বাংলাদেশ থেকে নেয়া জনশক্তিকে। আর স্যালিনি ইমপ্রিগিলোর স্টেডিয়াম তৈরি প্রকল্পের জন্য লোক পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আল ইসলাম ওভারসিজ। কোনোরকম খরচ ছাড়াই নেয়া হবে কর্মীদের। যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়াসহ সব খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর এই উদ্যোগকে খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মীদের এখন বিদেশে যেতে খরচ হয় না। কিন্তু পুরুষ কর্মীদের বিদেশে যেতে যেখানে লাখ লাখ টাকা খরচ। এমন পরিস্থিতিতে আল ইসলাম ওভারসিজ বিনা খরচে কর্মীদের কাতারে পাঠাচ্ছে। আল ইসলাম ওভারসিজের মাধ্যমে মূলত দক্ষ নির্মাণ শ্রমিকরা কাতারে যাচ্ছেন। কাতারের নিয়োগকর্তারা এসে তাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিমান ভাড়াসহ সব খরচ বহন করছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি। বাছাইকৃতরা দুই বছরের নবায়নযোগ্য চুক্তিতে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করবেন। এর বেশি কাজ করলে তা কাতারের শ্রম আইন অনুযায়ী ওভারটাইম দেয়া হবে। যে সব নির্মাণ শ্রমিক কাজের জন্য নির্বাচিত হবেন, তারা কাতারে গিয়ে থাকা-খাওয়ার সব খরচ পাবেন। দেশটির শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া শ্রমিকদের ক্ষেত্রে দুই বছর পর দেশে আসা-যাওয়ার টিকিট, ছুটিকালীন বেতনসহ বিভিন্ন সুযোগ দেয়া হবে। বেতন পাবেন মাসে ৯০০ রিয়াল। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম সুবিধা পাওয়া যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন