প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নারীর অধিকার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৩:৫২:০২ দুপুর
সমাজ ও রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে নারী-পুরুষের সমতা আনতে সব বাধা দূর করার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারী ও পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় যত প্রতিবন্ধকতা আছে, সব দূর করার অঙ্গীকার রয়েছে বর্তমান সরকারের। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশই
সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও স্পিকার নারী। দেশের বর্তমান সংসদে ৭০ নারী সদস্যের উপস্থিতি।এই সংখ্যা মোট সংসদ সদস্যের ২০ শতাংশ। ২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩০ শতাংশ নারী সদস্য থাকার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়টি বৈশ্বিক সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।এ ছাড়া স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন, তৃণমূলে ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষন করা আছে। বাংলাদেশে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে, প্রাথমিক থেকে স্নাকোত্তর পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি পাচ্ছে।এ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০ শতাংশ নারী শিক্ষক এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের জন্য বিনামূল্যে খাবার চালুও শিক্ষায় লৈঙ্গিক সমতা আনয়ন করা হয়েছে। মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে গুরুত্ব দেওয়ার হয়েছে ।দেশজুড়ে হাসপাতালের পাশাপাশি সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সন্তান প্রসব নিরাপদ এবং মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবায় মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে নারীর ভূমিকা প্রসংসনীয়। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে, যেখানকার প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিকের ৮৫ শতাংশই নারী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, কূটনীতি, জঙ্গি বিমান পরিচালনা ও শীর্ষ উদ্যোক্তাদের মধ্যেও রয়েছেন নারী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে তারা। এভাবে বাংলাদেশে নারীরা সত্যিকার অর্থে বাধা ভাঙছে এবং জাতি গঠনে এখন সক্রিয় উন্নয়ন নিয়ামকে পরিণত হয়েছে। অনেক অর্জন সত্ত্বেও এখনও নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিয়ে এবং নারী ও মেয়েশিশু পাচার প্রতিরোধে পুরোপুরি সাফল্য আসেনি। নারী ও মেয়েশিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ, তাদের যথাযথ শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন এবং সামাজিক পরিবর্তনের নিয়ামক হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায়নের জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ তা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।আমরা পারব নিজের এই স্লোগানে সবাইকে কণ্ঠ মেলানোর সময় এসেছে এখন।
বিষয়: বিবিধ
১০১৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর একান্ত প্রয়োজনে নারী ঘরের বাইরে বের হলে সংসারে অনামিষা নেমে আসে ।
কোন নারীর কর্ম সংস্থান মানে ৪/৫ সদস্য বিশিষ্ট একজন পুরুষের পরিবারের পেটে লাথি মারা । কারণ নারীর চাকরি থেকে যে আয় হয় সেটা শুধু মাত্রই সে ব্যক্তিগত লাক্সারীতে ব্যয় করে । পরিবার বা সমাজে যেটার কোন পজিটিভ ইমপেক্ট নেই বরং স্বাবলম্বী হয়ে নারী বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
নারীর ক্ষমতায়ন এর ছবক পশ্চিমাদেরই রেসিপি যেটা দিয়ে তারা মুসলমান সমাজে ধ্বস আনতে চায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন