উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৪:১৩:৩৫ বিকাল
রেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু ধান নয় প্রায় প্রতিটি খাদ্যশস্য উৎপাদনেই রেকর্ড করছে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির উৎপাদন। কৃষিবিদরা বলছেন, কৃষিবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও সময়োপযোগী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিতের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের ফল ও মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হার বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। ইতিমধ্যেই চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ রোপা আমন উৎপাদনের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১০১ শতাংশ বেশি উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বিশ্বে পথিকৃৎ বাংলাদেশ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বের জন্য উদাহরণ হিসেবে প্রচার করছে। গত কয়েক বছরে দেশের মানুষকে খাওয়ানোর জন্য বাংলাদেশ একটি চালও আমদানি করেনি। এখন সুযোগ তৈরি হয়েছে খাদ্য রপ্তানি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের। কৃষিতে বিজ্ঞানভিত্তিক নানা পদক্ষেপের কারণেই খাদ্য উৎপাদনে আজ আমরা নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় পরিসংখ্যান বলছে, কৃষি খাতে জিডিপির অবদান ২১ শতাংশ, কৃষি শ্রমে ৪৮ শতাংশ আর কৃষির সাব-সেক্টরসহ এ অবদান ৫৬ শতাংশ। তবে এটা অনস্বীকার্য যে কৃষি ক্ষেত্রে যেটুকু অর্জন হয়েছে তার সিংহভাগই এসেছে দেশের কৃষক ও কৃষিজীবীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। তাই কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের বিভিন্ন সেবার মান স্বচ্ছ ও আধুনিক হতে হবে। কৃষকের ভাষাতেই প্রযুক্তির সব বিষয় তুলে ধরতে হবে। কৃষক যখন প্রযুক্তির নানা আবিষ্কার দেখবে তখন তারা নিজেরাই সে সবের ব্যবহার শুরু করবে। তাই বলা যাচ্ছে দেশে এখন আর খাদ্য সংকট নেই বরং আমরা কিছু হলেও এখন অন্যকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টরপ্রতি ধান উৎপাদনের দিক থেকেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। আর এভাবেই ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে দেশে খাদ্য উৎপাদনের চিত্র।
বিষয়: বিবিধ
৭৫০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন