দেশের প্রথম ডিজিটাল সড়ক হচ্ছে বিমানবন্দর সড়ক
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৩:৩৭:৫২ দুপুর
মন ভালো করে দেওয়া এক সড়ক। পাশেই পানিতে খেলা করছে বাহারি মাছ। সড়ক থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে হাঁটার পথ। সেই বিস্ময় জাগানিয়া পথ পথিকের নজর কাড়ছে। রাতে মাউন্টেন ঝরনায় চলছে আলোর নাচন। চলতি বছরের জুলাই থেকে সড়কটির আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক কাজই সম্পন্ন হয়েছে। তবে কাজ পুরোপুরি শেষ হবে আগামী বছরের মার্চে। বনানী থেকে
বিমানবন্দর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির আধুনিকায়নে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এতে সরকারের কোনো ব্যয় হচ্ছে না। ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। দাবি করা হচ্ছে কাজ শেষ হলে এটাই হবে দেশের প্রথম ডিজিটাল সড়ক। সংস্কার কাজ শেষ হলে গাড়িতে বসে থাকলেও এই সড়কে প্রবেশ মাত্রই মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ইন্টারনেট কানেক্টেড’ হয়ে যাবে। সড়কে থাকবে ১০টি আধুনিক যাত্রী ছাউনি। এসব ছাউনিতে ওয়াইফাই সুবিধা, এটিএম বুথ, মোবাইল রিচার্জ পয়েন্ট, উন্নতমানের টয়লেট এবং কয়েন দিয়ে পণ্য কেনার অত্যাধুনিক সুবিধা পাবেন যাত্রী ও পথচারীরা। এছাড়া সড়কের দুপাশে ১২টি মাউন্টেন ঝরনা থেকে অবিরত পানি ঝরবে। ঝরনার জলে মাছেরা খেলা করবে। রাতে সড়কটিকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলতে ব্যবহৃত হবে এলইডি ফোকাস লাইট। সড়কের একটি অংশে থাকবে আলাদা সাইকেল লেন। দু’পাশে থাকবে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যাবলী। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা ঘটনাপ্রবাহ সেখানে প্রদর্শিত হবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন পথচারীরা। পুরো সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। সবসময় পাহারায় থাকবে নিরাপত্তা প্রহরী। ফুটপাতের নির্ধারিত জায়গায় লাগানো হবে মৌসুমি ফুলের গাছ। বিশ্বের আধুনিক সব ফুলগাছ দিয়ে সাজানো হবে সড়কটি। ১২ মাসই ফুল দেখতে পাবেন পথচারীরা। ফুলের সুবাসে পথচারীদের মন ভালো হয়ে যাবে। ইচ্ছা থাকলে যে অনেক কিছুই করা সম্ভব বিমান বন্দর সড়ক হবে তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
বিষয়: বিবিধ
৮৬২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন