অনেক দিন মনে রাখার মত বর্ণিল আলোক উৎসব
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৫:০২:১৭ বিকাল
বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শের বিষয়টি স্মরণীয় হয়েই থাকবে ঢাকা নয় সারাদেশের মানুষের কাছেই। আঁধারের মাঝে আকস্মিক আলোর ঝলকানি। না এ শুধু আলোর ঝলকই নয় আলোর উৎসব আলোকের উৎসব।সক্ষমতা অর্জনের উৎসব। আঁধার ভেঙ্গে বাংলাদেশের আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার উৎসব। হাতিরঝিলে যেমন লাখো লাখো মানুষ আলোক উৎসবে সামিল হয়েছিল তেমনি টেলিভিশনের সামনে বসে এই উৎসব
দেখেছে গোটা বাংলাদেশ। সন্ধ্যা থেকেই অধীর আগ্রহে অন্ধকার হাতিরঝিলে অপেক্ষা করছিল। আগেভাগেই ঘোষণা ছিল আজ সন্ধ্যা বেলা আলোয় মাতবে ঢাকার আকাশ। আয়োজন যেমন বিশাল। উৎসব উপভোগে মানুষের আগ্রহও ছিল তেমন। হাতিরঝিলের সব রাস্তার বাতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। হাতিরঝিলজুড়ে এমন আয়োজনতো আলোয় ভাসবার জন্যই। শিশু থেকে বৃদ্ধ কিংবা মাঝ বয়সী কেউ কি ঘরে ছিল। না, এই আয়োজনের খবর যাদের কাছে ছিল তাদের ঘরে থাকার উপায় কোথায়? সব থেকে আনন্দে ভেসেছে শিশুরা। জীবনে এমন আনন্দ উপভোগের আয়োজনতো বার বার করা যায় না। হাতেগোনা দু’একবার আসতে পারে। সারাদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক স্থাপনে আলোক উৎসবের আয়োজনের হয়। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে হাতিরঝিল। ঢাকায় এমন জায়গা কোথায়, হাতিরহঝিল ছাড়া। মূল উৎসবের মঞ্চ ঠিক করা হলো হাতিরঝিলের রামপুরা প্রান্তে কিন্তু কি গুলশান কি মগবাজার কি অন্য কোন প্রান্ত সব খানেই তো লোকে লোকারণ্য। মানুষ আর মানুষ। সব স্রোত এসেছে আলোর নাচন দেখতে। এখন দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার মেগাওয়াট। তবে কেন্দ্রের ক্ষমতা কমে যাওয়ায় নিট উৎপাদন ১২ হাজার ৪০৫ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের এসব আর কোন মাথাব্যথার কারণ নয়। তারা এখানে আলোর উৎসব দেখতে এসেছেন। মাঝখানে বড় বড় ইংরেজী হরফে লেখা ১৫ হাজার। এর চারপাশ জুড়ে শুরু হলো আলোর ঝলকানি। আতশবাজিতে আকাশে আনন্দের ঝর্ণাধারা। একই সঙ্গে সবুজ লেজার রশ্নির বর্ণিল ছটা। রাতের আকাশকে আরও বর্ণিল শোভায় সাজালো। এত সবুজ নয় বাংলাদেশের প্রাণ। প্রাণের মেলা। শিশুদের সে কি উচ্ছ্বাস। দিড়িম- দিড়িম- দিম এমন গগন প্রকম্পিত শব্দে ভয় পাওয়ার বদলে উল্টো চিৎকার করেছে। আনন্দে চিৎকার করেছে। আজ ঘরে বসে থাকলে জীবনের ষোলো আনাই যেন মিছা মনে হতো। এই উৎসব শেষ হলো সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে। আর হাতিরঝিলের আলো জ্বলে উঠল সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে। মাত্র ১৮ মিনিটের আয়োজন কিন্তু বহুদিন মনে রাখার মতো বহুদিন উচ্ছ্বাস করার মতোই ছিল এই আয়োজন।
বিষয়: বিবিধ
৮২৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব বিদ্যুত কি বাংলাদেশের যেসব এলাকায় দরকার সেখানে দেওয়া যেত না ? খোদ ঢাকা শহরেই তো অনেক এলাকা আছে যেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি প্রতিদিনই থাকে ।
সম্পদ থাকলে কি সেটা ফুটানি মারার জন্য উড়াতে হবে ?
আপনাদের উচিত হবে এসব বিদ্যুত দরকারী জায়গায় সরবরাহ করা এবং অবশ্যই বিদ্যুতের দাম কমানো , লাক্সারী করা আমাদের মত গরীব দেশের শোভা পায় না ।
আপনারা তো সরকারের আশেপাশে থাকেন তাই এসব আমাদের আছে লাক্সারী হলেও আপনাদের কাছে উৎসব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন